ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজারে কোন প্রকার শোভাযাত্রা ছাড়াই প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হলো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহত উৎসব দূর্গা পূজা।
গত ২২ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাঁচ দিনের দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী ও মহানবমীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ ধর্মীয় নানা অনুষ্ঠান পালন করেন।
সোমবার (২৬ অক্টোবর) দশমীর দিনে সকাল ৯টা ৩৭ মিনিট থেকে দশমী বিহিত পূজার লগ্ন শুরু হয়। বিজয়া দশমীর দিনে কোন প্রকার শোভা যাত্রা ছাড়াই প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে এ আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।
বিসর্জনের সময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার পৌর মেয়র ফজলুর রহমান, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুন্না রায়, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শুমেশ দাশ যীশু।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুন্না রায় বলেন, এবছর কোরনা ভাইরাসের কারণে উৎসবের পরিসর ছোট করা হয়েছে। যদিও আনন্দে কোনও ঘাটতি ছিল না। ছোটদের অংশগ্রহণও কোন অংশে কম ছিল না। উৎসব শেষে ব্যতিত মনে ভক্তরা মা দূর্গকে বিদায় জানিয়েছে। করোনার কারণে শোভাযাত্রা ছাড়াই চলে বিদায়পর্ব।
পৌর মেয়র মোঃ ফজলুর রহমান বলেন, মৌলভীবাজারে করোনার কারণে শহররের ভেতর কোন প্রকার শোভাযাত্রা ছাড়াই প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হল হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ দূর্গা উৎসব।
বিকেলে শহরের চাঁদনীঘাট এলাকায় মনুনদীতে দেবী দুর্গা ও অন্যান্যদের বিসর্জন দেয়া হয়। জেলায় ৯৬৯টি পূজামন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মতে মা দূর্গা পালকিতে চড়ে আসেন ও গমন করেন গজে করে। মা দূর্গার আগমন ঘটেছিল (মকর) দূর্যোগের মধ্যদিয়ে আর গজে গমন করায় মা দূর্গার শষ্যের পূন্যতা দিয়ে যান।