ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজারে মাদকদ্রব্য সেবন করে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী বহিষ্কৃত ছাত্রফ্রন্ট নেতা তুষার রোববার মৌলভীবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পন করলে বিচারক আলী আহসান তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। এদিকে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করতে মামলার প্রধান স্বাক্ষী সাংবাদিক মাহমুদ এইচ খানকে গ্রেফতারের দাবি করছেন স্থানীয়রা। সাংবাদিক মাহমুদের বাসায় ঘটনা ঘটার পরেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার না করায় জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হচ্ছে।
তবে পুলিশ বলছে, প্রধান আসামী সহ বাকীদের গ্রেফতার করতে তাদের অভিযান অব্যাহত আছে। তাদের মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকায় অবস্থান সনাক্ত করা যাচ্ছে না। তবে খুব কম সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেফতার করা হবে।
জানা যায়, মৌলভীবাজার শহরতলির সোনাপুর গ্রামের একটি ভাড়া বাসায় ৩ আগস্ট রাতে ডিনার পার্টির আয়োজন করেন মার্জিয়া প্রভা নামের এক নারী নেত্রী। সেখানে অংশ নেওয়া কলেজছাত্রী গাঁজা সেবনের ফলে স্বাভাবিকতা হারিয়ে ফেললে ছাত্রফ্রন্ট নেতা তুষার তাকে উঠিয়ে অন্য একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে। গত ২৫ আগস্ট বাসার ভাড়াটিয়া মাহমুদ এইচ খান ফেসবুকে এ সম্পর্কিত একটি স্ট্যাটাস দিলে ধর্ষণের ঘটনা জনসম্মুখে আসে। এরপর ভিকটিম ৩১ আগস্ট বিকেলে মৌলভীবাজার মডেল থানায় উপস্থিত হয়ে ধর্ষকসহ চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেন। নারী নির্যাতন মামলায় তুষারকে প্রধান আসামি এবং রায়হান আনছারী ও মার্জিয়া প্রভাকে আসামি করা হয়।