বিশেষ প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার জনতা ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক চামেলি রাণী ও লোন অফিসার প্রণব রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ না দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ব্যাংক কর্মকর্তাদের অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতায় হাওর অধ্যুষিত এ উপজেলার কৃষক ও ক্ষুদ্র গবাদি পশুর খামারিরা ঋণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ফলে ব্যাহত হচ্ছে সরকারের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের মতো মহতি উদ্যোগ সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড। বেকার হচ্ছেন হাওর পারের শত শত শিক্ষিত যুবক।
উপজেলার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও খামারের মালিকদের সাথে কথা হলে তারা প্রতিবেদককে বলেন, জনতা ব্যাংক রাজনগর শাখায় ঋণ চাইলে তাদেরকে ঋণ না দিয়ে বিভিন্ন পন্থায় হয়রানি করছেন শাখা ব্যবস্থাপক চামেলী রাণী ও লোন অফিসার প্রণব রায়। এদিকে অভিযোগ রয়েছে শাখা ব্যবস্থাপক ও লোন অফিসারের যোগসাযোশে তেলা মাতায় তেল দেয়া হচ্ছে। যার ফলে উপজেলার হাওর এলাকার ক্ষুদ্র খামারিরা স্বল্প সুদে ঋণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ঋণ সুবিধা না পাওয়ায় স্বাভলম্বী হতে পারছে না খামারিরা। নিরুৎসাহিত হচ্ছেন কর্মসংস্থানমূলক কাজে।
উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের হাওর এলাকার ক্ষুদ্র খামারি সৈয়দ বয়তুল আলী বলেন, দুধের ৬টি গাভী, ৫টি মোটাতাজাকরণের ষাঁড় এবং ৮টি বাছুর নিয়ে আমার পরিবারের একটি ক্ষুদ্র খামার রয়েছে। খামারের পরিধি বড় করতে জনতা ব্যাংকের রাজনগর শাখায় ঋণ প্রাপ্তির জন্য যোগাযোগ করলে প্রথমে আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে উৎকুচ না দেয়ায় ঋণ পাইনি।
উপজেলার সামছুল ও জিল্লু সহ একাধিক উদ্যোক্তা প্রতিবেদককে জানান, জনতা ব্যাংকে ঋণের জন্য একাধিক বার গিয়েও ঋণ পাইনি। তারা আশ্বাস দিয়ে বার বার হাটায়।
জনতা ব্যাংক রাজনগর শাখার লোন অফিসার প্রণব রায় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যে অভিযোগ করেছে তাকে আমার কাছে নিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে জনতা ব্যাংক রাজনগর শাখা ব্যবস্থাপক চামেলী রাণী দেব এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, রাজনগর শাখায় অনেক খেলাফি গ্রাহক রয়েছেন। যে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ করেছে, ওকে আমার কাছে ধরে নিয়ে আসেন।
এবিষয়ে উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প মৌলভীবাজারের প্রশিক্ষক সমন্বয়ক মোঃ নিয়াজ মোর্শেদ বলেন, প্রতিটি ব্যাংকই ঋণ বিতরণের বিষয়টিকে জটিল করে রেখেছে। উদ্যোক্তারা ব্যাংকে গেলে কোনো না কোনো কারণ দেখিয়ে বিদায় করে দেয়া হয়। যার ফলে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে না।