ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভা ইজিপি টেন্ডারে মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রকে তোয়াক্কা না করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা প্রককৌশল সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পৌর-২ শাখা এর স্মারক নং-৮০৩, ০৪/০৭/২০১৯ইং তারিখে জারীকৃত অফিস আদেশে যে সকল দরপত্রের অনুমোদনকারী মেয়র, সে সকল ইজিপি টেন্ডারে মূল্যায়ন কমিটিতে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) অথবা তার মনোনীত প্রতিনিধিকে সদস্য হিসেবে রাখার কথা রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় সরকার বিভাগ, পৌর-২ শাখা এর এই অফিস আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কোনো বহিরাগত সদস্য না রেখেই নিজের মনমতো দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি করে পৌর কর্তৃপক্ষ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি আহ্বানকৃত কুলাউড়া পৌরসভার সীমানা প্রাচীর ও গেইট নির্মাণ কাজের (ইজিপি টেন্ডার আইডি ৩৪২১৩২, প্যাকেজ নং অউচ/কঁষধ/২০১৮-১৯/ড-২১) ৩৫ লক্ষ টাকার টেন্ডারেও করা হয়েছে অনিয়ম। এছাড়াও এই অনিয়ম রয়েছে কুলাউড়া পৌরসভার এডিবি-এর ইজিপি টেন্ডারেও। ই-টেন্ডার চালুর পর থেকে কুলাউড়া পৌর কর্তৃপক্ষ মনগড়া নিজের সুবিধা আদায়ের জন্য ইচ্ছে মাফিক দরপত্র টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটি করে যাচ্ছে বাহিরের কোনো সদস্য ছাড়াই। বিভিন্ন স্থানীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, উপজেলা প্রকৌশলীকে পাশ কাটিয়ে কমিটি করার পেছনে কোন গোপন উদ্দেশ্য থাকতে পারে। উনাকে কমিটিতে রাখলে টেন্ডার প্রক্রিয়া সুন্দর ও স্বচ্ছ থাকবে বলে তারা মনে করেন।
অভিযোগ সম্পর্কে পৌরসভা সহকারি প্রকৌশলী কামরুল হাসান বলেন, পৌরসভা ইজিপি টেন্ডার প্রক্রিয়া মূল্যায়ন কমিটি উপজেলা প্রকৌশলীকে না জানিয়ে হয়না। তিনি (উপজেলা প্রকৌশলী) নিজেইতো টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটিতে রয়েছেন।
তবে উপজেলা প্রকৌশলী মু. ইসতিয়াক হাসান বলেন, “ইতিপূর্বে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়)-এর কিছু ইজিপি টেন্ডারের মূল্যায়ন কমিটিতে আমাকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত রাখা হয়েছে। কিন্তু এডিপি অথবা অন্যান্য ইজিপি টেন্ডারের মূল্যায়ন কমিটির ব্যাপারে আমি অবগত নই”।