বিশেষ প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার হাবিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুস সামাদ মিয়া’র বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। সূত্র বলছে, বড় অংকের টাকার বিনিময়ে তিনি তার পছন্দের প্রার্থীকে মনোনীত করেছেন। এনিয়ে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী চাকুরি প্রত্যাশিদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা যায়, শনিবার সহাকারী প্রধান শিক্ষক ও গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ পরীক্ষা নেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে ৫ জন এবং গ্রন্থাগারিক পদে ৯ জন প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। সহকারী শিক্ষক পদে ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তমাল কান্তি দে কে এবং গ্রন্থাগারিক পদে বাবলী সরকারকে মনোনীত করা হয়।
একটি দায়িত্বশীল সূত্র ও পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী একজন প্রার্থী জানান, চাকুরির নিশ্চয়তা দিয়ে গ্রন্থাগারিক পদে এক চাকুরি প্রত্যাশির সাথে ১ লক্ষ টাকার মৌখিক চুক্তি করেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুস সামাদ মিয়া। ৩০ নভেম্বর ওই চাকুরি প্রত্যাশি কর্মকর্তার মৌলভীবাজার পৌর শহরের সমশেরনগর রোডস্থ বাসায় গিয়ে নগদ ১ লক্ষ টাকা দিয়ে আসেন। ২ ডিসেম্বর ওই কর্মকর্তা চাকুরী প্রত্যাশিকে হাতে লেখা ৮টি প্রশ্ন দেন এবং বলেন এগুলোই পরীক্ষায় আসবে। কিন্তু পরীক্ষায় ১টিও আসেনি। এদিকে নিয়োগ বোর্ডের অপর এক সদস্য ওই পরীক্ষার্থীর সাথে ৩ লক্ষ টাকার মৌখিক চুক্তি করেন। তাকেও নগদ ১ লক্ষ টাকা দেয়া হয়। বাকী টাকা চুড়ান্ত নিয়োগের সময় দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু অদৃশ্য কারণে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। মনোনীত প্রার্থী বাবলী সরকার পরীক্ষা থেকে বের হয়ে পরীক্ষার্থীদের বলে সবগুলো প্রশ্নই তার কমন পড়েছে এবং তার চাকুরী হবে নিশ্চিত।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুস সামাদ মিয়া বলেন, প্রার্থীরা মাঝে মধ্যে আমার কাছে সম্ভাব্য কিছু প্রশ্ন চান। তেমনভাবে ওই স্কুলের নিয়োগ পরীক্ষায় এক প্রার্থীকে কয়েকটি প্রশ্ন দিয়েছি। তবে টাকা লেনদেনের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
জেলা শিক্ষা অফিসার এম এ ওয়াদুদ বলেন, ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে টাকা লেনদেনের অনেক অভিযোগ মৌখিকভাবে আমার কাছে আসে। কিন্তু লিখিতভাবে কেউ অভিযোগ না দেয়ায় আমার কিছু করার থাকে না। তবে ওই শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনেক বদনাম রয়েছে।