ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার সুনামপুর গ্রামে পূর্বশত্রুতার জেরে বাংলাদেশী বংশদূত বৃটিশ নাগরিক আব্দুল আহাদের বাড়ির সীমানা প্রাচীরের দেয়াল ভাঙ্গার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আব্দুল আহাদ ব্রিটিশ হাই কমিশন ও মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ফয়ছল আহমদ ও ইউপি সদস্যসহ এলাকাবাসী দফায় দফায় বৈঠকে বসে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
অভিযোগ ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, আব্দুল আহাদ দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে পরিবারের সবাইকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে বসবার করছেন। এক বৃদ্ধা মহিলা তার বাড়ি দেখবাল করেন। এই সুবাদে আব্দুল আহাদের পার্শ্ববর্তী বাড়ির নূর ইসলাম পূর্ব শত্রুতার জেরে কেয়ারটেকার ওই মাহিলাকে বলেন আব্দুল আহাদের দেয়াল তার অংশে হেলে পড়েছে। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম এবং একাধিক মুরব্বিদের জানানো হয়। তারা যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল আহাদকে বিষয়টি অবগত করেন। তখন মুরব্বিদের বলা হয় ৩/৪ মাস পরে দেশে এসে নূর ইসলারেম অংশে দেয়াল হেলে পড়লে ভেঙ্গে ঠিক করে দেয়া হবে। কিন্তু সকলের কথা অমান্য করে ২৮ ও ২৯ নভেম্বর দুই দফায় বাড়ির সীমানা প্রাচীরের দেয়াল ভাঙ্গেন নূর ইসলাম।
জনপ্রতিনিধি ও মুরব্বিদের কথা অমান্য করে দেয়াল ভাঙ্গায় ২৯ নভেম্বর রাতে কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়ছল আহমদ, ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম সহ এলাকার মুরব্বিরা আলোচনায় বসেন এবং নূর ইসলামের অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করেন। কিন্তু তারপরেও পরের দিন ৩০ নভেম্বর সকালে ফের নূর ইসলাম দেয়াল ভাঙ্গেন। ওই দিন রাতে বিষয়টি নিয়ে নওয়াগাঁও বাজারে চেয়ারম্যান ফয়ছল আহমদ, ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম সহ এলাকার মুরব্বিরা প্রতিবাদ সভায় বসেন। আলাপ আলোচনার এক পর্যায়ে এলাকাবাসীর কথা অমান্য করায় নূর ইসলাম ক্ষমা চান।
অভিযোগে তিনি আরও বলেন, নূর ইসলাম স্থানীয়দের কাছে বলে বেড়াচ্ছে আব্দুল আহাদ দেশে আসলে মারধর করবেন এবং পরিবারের ক্ষতি করবে।
এদিকে বিগত ২০১৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী জীবন নাশের হুমকি, মুক্তিপন আদায় ও জোরপূর্বক মাল ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে নূর ইসলামের বিরুদ্ধে লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন আব্দুল আহাদ। ওই অভিযোগ দায়েরের পর থেকে অদ্যবধি নূর ইসলাম বিভিন্ন সময় প্রবাসীর পরিবারকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য ও গালিগালাজ করে আসছে।
এ বিষয়ে নূর ইসলাম বলেন, দেয়াল আমার ঘরের দিকে হেলে পড়ায় জানালা খোলতে পারছি না এবং ঘরে কোনো ধরনের কাজ করাতে পারছি না। দেয়াল সোজা করার জন্য আব্দুল আহাদকে গত ৩ বছর যাবত বললেও সমাধান করেননি। স্থানীয় মুরব্বিরাও ব্যর্থ হয়েছেন। যার কারণে বাধ্য হয়ে এটা করেছি। আপনি তো নিজের হাতে আইন তুলে নিতে পারেন না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এটা আমার ভুল হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, এলাকাবাসীর কথা অমান্য করে দেয়াল ভাঙ্গার জন্য নূর ইসলাম ক্ষমা চেয়েছেন। দেয়াল মেরামত ও ক্ষয়ক্ষতির দায়িত্ব আব্দুল আহাদের চাচা আরমান মিয়া কাছে নাস্ত করা হয়েছে। উভয় পক্ষ নিয়ে এটা তিনি সমাধান করবেন।
Post Views:
0