ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজারে উত্তম দাস নামে এক ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার বেসামরিক গেজেট (গেজেট নং ১৯৫৪) বাতিল করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৬৮তম সভায় চলতি বছরের ৭ অক্টোবর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। নভেম্বর থেকে তার ভাতাও বন্ধ করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার এক মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগের প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় তার এ গেজেট বাতিল করে।
জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার উত্তম দাস ১৯৯৬ সালে জালিয়াতী করে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার লাল মুক্তিবার্তায় (মুক্তিবার্তা নং ৫০৪০১০০০৪) উনার নাম অন্তর্ভুক্ত করান। ভারতীয় তালিকা নং ২৪৮৫৩ এবং গেজেট নং ১৯৫৪। এদিকে ২০০৩ সালে মুক্তিযোদ্ধা যাছাইবাছাইকালে উত্তম দাস মুক্তিযোদ্ধের স্বপক্ষে দলীল উপস্থাপন করতে না পারায় তার নাম মুক্তিবার্তা থেকে কাটা হয় এবং অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা ভাতাও বাতিল করা হয়। অনুসন্ধানে দেখা গেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের ২৪৮৫৩ নং ভারতীয় তালিকায় সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিলের নাম রয়েছে।
এদিকে উত্তম দাস মুক্তিযোদ্ধা নাম ভাঙ্গিয়ে তার মেয়ে সুমি রানী দাস’কে মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সরকারী চাকুরি দিয়েছেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে সম্প্রতি অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের ১২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি ঘর নির্মাণেও তাকে বাছাই করা হয়।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আনছার আলী বলেন, শুনেছি উনার গেজেট বাতিল হয়েছে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোঃ শরীফুল ইসলাম গেজেট বাতিল হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভুমিহীন ঘরের তালিকা থেকে উনার নাম বাদ দেয়া হবে।