কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ
কানাইঘাটের গাছবাড়ীর আনন্দ কমিউনিটি সেন্টারে ২ বাবুর্চি নিহতের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত সুহেল আহমদের ছোট ভাই সাহেদ আহমদ বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আজ কানাইঘাট থানায় এ মামলা দায়ের করেছেন। কানাইঘাট থানায় মামলার নং (২১)। মামলার আসামীরা হলেন কানাইঘাটের গাছবাড়ি এলাকার বাসিন্দা কামরুল ইসলাম,লক্ষীপ্রসাদ ইউনিয়নের মেম্বার,জাসদ নেতা শামীম উদ্দিন,লক্ষীপ্রসাদ ইউনিয়ন বিএনপির প্রচার সম্পাদক তাজুল ইসলাম,যুবদল নেতা হাবিবুর রহমান ও জাসদ কর্মী শাব্বির আহমদ। মামলার খবর পাওয়ার পর থেকে থেকে আসামীরা পলাতক। পুলিশ আসামীদের ধরতে বাড়ি বাড়ি অভিযান শুরু করেছে।
উল্লেখ্য,গত ১ ডিসেন্বর (বুধবার) সকালে গাছবাড়ী এলাকায় অবস্থিত আনন্দ কমিউনিটি সেন্টার থেকে ২ বাবুর্চির মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতদের মধ্যে একজন পুরুষ এবং একজন মহিলা। পুরুষ বাবুর্চির নাম সুহেল আহমদ। তিনি কানাইঘাট উপজেলার নয়াগ্রামের মৃত রহমত উল্লাহর ছেলে। নিহত মহিলার নাম সালমা বেগম। তার বাড়ী ওসমানীনগর থানার তাহিরপুর গ্রামে।
জানা যায়,৩০ নভেম্বর রাতে সেন্টারে রান্নার কাজ শেষ করে তারা দু’জনই ঘুমিয়েছিলেন। সকালে অনেক ডাকাডাকির পরও কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে তাদের লাশ মেজেতে পড়ে থাকতে দেখেন সেন্টারের পরিচালক। তখন তিনি পুলিশে খবর পৌছালে তারা এসে মৃত দুইজনের লাশ উদ্ধার করে এবং আশকাজনক অবস্থায় নাজিম উদ্দিন নামে একজনকে হাসপাতলে প্রেরণ করে। শুরু থেকেই এই ২ জনের মৃত্যু নিয়ে রহস্য ছিল। প্রাথমিকভাবে এ মৃত্যু স্বাভাবিক ভাবলেও নিহতদের পরিবারের দাবী মুখে বিষ ঢেলে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। ময়না তদন্ত এবং লাশ দাফনের ৩ দিন পর আজ আলোচিত এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার চেয়ে মামলা করলেন সুহেলের ছোট ভাই।