ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বন্ধ থাকা পর্যটন স্পট গুলো ১৪০ দিন পর বৃহস্পতিবার থেকে খোলার ঘোষণা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। এই ঘোষণার পরপরই দর্শনার্থীদের জন্য পুনরায় উন্মুক্ত হচ্ছে মৌলভীবাজারের বিনোদন কেন্দ্র গুলো।
এদিকে পূণরায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন পর্যটন সেবাদানকারী সকল প্রতিষ্ঠান। তবে দুই দফা লকডাউনে বন্ধ থাকার পর আর্থিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠাকেই বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখছেন পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্টরা।
হোটেল-রির্সোট মালিকদের সংগঠন পর্যটন সেবা সংস্থার দাবী, করোনাকালে লকডাউনে শ্রীমঙ্গলের হোটেল-রির্সোট ব্যবসায় প্রায় আড়াইশ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।
দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম হাকালুকি হাওর, মাধবপুর লেইক, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ, বধ্যভূমি ৭১, সাত লেয়ারের চা, বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন, বাইক্কাবিল, হাইল হাওর, মাধবকুন্ড জলপ্রপাত, হামহাম জলপ্রপাত, কমলা রাণীর দীঘী ও জলেরগ্রাম অন্তেহরী ইত্যাদি।
হোটেল ও রিসোর্টগুলোর মধ্যে রয়েছে সদর উপজেলার মোকামবাজার এলাকায় অবস্থিত পাঁচতারকা মানের দুসাই রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা, শ্রীমঙ্গল উপজেলার গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ, টি-বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন শ্রীমঙ্গল টি রিসোর্ট অ্যান্ড মিউজিয়াম, লেমন গার্ডেন রিসোর্ট, নভেম ইকো রিসোর্ট, টি হ্যাভেন রিসোর্ট, বালিশিরা রিসোর্টসহ প্রায় ১০০টি হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস, রিসোর্ট ও কটেজ।
শ্রীমঙ্গল কলেজ রোডে গ্রীন লীফ গেস্ট হাউজের স্বত্বাধিকারী এবং শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক এস কে দাস সুমন সহ একাদিক ব্যবসায়ী জানান- আমরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে রিসোর্ট-কটেজ গড়ে তোলেছি। সরকার সেখান থেকে অনেক রাজস্ব পাচ্ছে, কিন্তু করোনার সময় আমরা কোন সহযোগিতা পাইনি।
লাউয়াছড়া বিট কর্মকর্তা মো.মামুনুর রশিদ বলেন, পর্যটকদের জন্য আমাদের সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পর্ণ করেছি। যারা পর্যটকদের গাইড দেতেন অনেকেই চলে গিয়েছে তাদের ফের নিয়ে আসা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তানিয়া সুলতানা জানান- এই জেলা দেশের পর্যটন শিল্পের গুরুত্ব অনেক। পর্যটন স্পটগুলো আজ থেকে খোলছে পর্যটকদের স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন থাকার জন্য প্রত্যেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে তারা যাতে গুরুত্ব সহকারে পর্যটকদের স্বাস্থ্য বিষয়টা দেখেন।