ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজারের রাজনগরে মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত একটি সমাবেশে অতিথিদের সাথে একই মঞ্চে মামলার আসামী রাজনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন বখত উপস্থিত থাকলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি। পুলিশের নিরব ভুমিকায় জেলার সচেতন মহলে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হচ্ছে।
জানা যায়, ১১ ফেব্রুয়ারী রাজনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: মিছবাহুদ্দোজা ভেলাই ও সাধারণ সম্পাদক মিলন বখত এবং উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান খাঁনের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১০৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। খবর পেয়ে রাজনগর থানা পুলিশের পাশাপাশি জেলা সদর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দুই ঘন্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এতে ২ পুলিশ সদস্য সহ উভয় গ্রুপের ৩০ জন নেতাকর্মী গুরুত্বর আহত হন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১১ ফেব্রুয়ারী রাজনগর থানায় পৃথক পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান খাঁনের পক্ষে মামলা করেন তার অনুসারী যুবলীগ নেতা তানিম খান। এ মামলায় রাজনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সহ কয়েকটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে আসামী করা হয়।
এদিকে মঙ্গলবার বিকালে রাজনগর উপজেলা পরিষদের সামনে উপজেলা আওয়ামীলীগ একটি জন সমাবেশের আয়োজন করে। উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মো: মিছবাহুদ্দোজা ভেলাই’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মামলার আসামী মিলন বখতের পরিচানায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আ’লীগের সভাপতি নেছার আহমদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান সহ জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। সমাবেশের প্রথম সারিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আসামী মিলন বখত উপস্থিত থাকলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসামীরা যেকোনো দলের হোক না কেন এভাবে প্রকাশ্যে জন সমাবেশে উপস্থিত থাকা ঠিক নয়। আসামীদের প্রকাশ্যে ঘুরা ফেরা করায় অপরাধ বেড়ে যায়। অপরাধীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে।
এবিষয়ে রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসেম বলেন, এরকম বড় সমাবেশে থেকে আসামীদের গ্রেফতার করা যায় না। তবে উভয় মামলার আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।