বিশেষ প্রতিনিধিঃ
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, কিছু লোক মনে প্রাণে বাংলাদেশকে মেনে নেয়না। আমাদের ভাষা পছন্দ করেনা। এদের জন্যই ৩০ লক্ষ মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। আওয়ামীলীগের কর্মী হওয়া গর্বের বিষয়। এখন জ্বালাও পোড়াওয়ের দিন শেষ উন্নয়নের বাংলাদেশ। শুক্রবার দুপুরে প্রেসক্লাব চত্ত্বরে মৌলভীবাজার কোদালীছড়া উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামীলীগ গণতান্ত্রিক সরকার, স্বৈরতান্ত্রিক সরকার নয়। গায়ের জোরে কিছু করা যায় না। গায়ের জোরে কাজ করে স্বৈরশাসক। এই সরকার আপনাদের সরকার। তিনি বলেন, সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়িয়েছে, ১০ টাকায় চাল, আবার কাউকে কাউকে বিনামূল্যে চাল ও ঋণ সুবিধা দিচ্ছে। সরকারের কাছে প্রতিটি জেলার দরিদ্র, বিদ্যুৎ ও স্কুলের ম্যাপ রয়েছে। পিছিয়ে পড়া জেলাকে পর্যায়ক্রমে উন্নয়নে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মো. ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জোহুরা আলাউদ্দিন, জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা সায়রা মহসীন ও প্রকল্প পরিচালক কাজী মিজানুর রহমান।
পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, কোদালীছড়ার মোট দৈর্ঘ্য শহরের পাহাড় বর্ষিজোড়া হতে হাইল হাওর পর্যন্ত ২১.৫৮ কিলোমিটার। তার মধ্যে মৌলভীবাজার পৌরসভা এলাকায় কোদালীছড়ার দৈর্ঘ্য ৩.৯০ কিলোমিটার এবং বর্তমানে কোদালীছড়ার উভয় পার্শ্বে টেন্ডারকৃত দৈর্ঘ্য (চেইনেজ ১.৩ কিলোমিটার ৩.৯০ কিলোমিটার) ২.৬০ কিলোমিটার। মোট ৫টি প্রকল্পে ব্যয় হবে ২৪ কোটি, ৯৫ লক্ষ, ৮৯হাজার, ৭২৯ টাকা।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, দেশে বিভিন্ন ধরণের উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। উন্নয়ন স্বপ্ন নয় বাস্তবে হবে। ঢাকা সিলেট মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নিত করা হবে এবং সড়কটি হবে ইউরোপের মতো। আমরা সবাই মিলে কাজ করতে চাই। আমাদের কাছে মনে হয় সকল সমস্যা এক দিনেই সমাধান করে দেই। কিন্তু সম্ভব নয়। কাজ শেষ করার অপেক্ষা করতে হবে। আগামী ৫ বছর কি কাজ হবে সেটির পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এর আগে মন্ত্রী মৌলভীবাজার পৌরসভার আয়োজনে কম্পিউটার ট্রেনিং কোর্স সম্পন্নকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন।