ষ্টাফ রিপোর্টারঃ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শাহাজান খানকে জামায়াত-বিএনপি’র মদদপুষ্ট দাবি করছেন উপজেলা আ’লীগ সভাপতি আলহজ্ব মো: মিছবাহুদ্দোজা ভেলাই। তিনি আরও বলেন, আওয়ামীলীগের সমাবেশকে পন্ডু করতে রাজাকার আব্দুল মছব্বিরের পুত্র জিল্লুর রহমানের নির্দেশে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজান খাঁনের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। ১১ ফেব্রুয়ারী রাজনগর আওয়ামীলীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে শনিবার দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে উপরের অভিযোগ তুলেন উপজেলা আ’লীগ সভাপতি আলহজ্ব মো: মিছবাহুদ্দোজা ভেলাই।
এ দিকে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১১ ফেব্রুয়ারী রাজনগর থানায় পৃথক পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয় আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারী মৌলভীবাজার জেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে রাজনগর উপজেলায় এক সমাবেশের উদ্যোগ নেয় রাগনগর উপজেলা আ’লীগ। সমাবেশকে সফল করতে চলছে সাংগঠনিক নানা আয়োজন। কিন্তু অপর দিকে সমাবেশ পন্ডু করতে জামাত-বিএনপির মদদপুষ্ট রাজনগর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহান খান নানা ষড়যন্ত্র ও পায়তারা শুরু করেছেন। লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয় আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারীর সমাবেশকে সফল করতে গত ১১ ফেব্রুয়ারী আ’লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনকে নিয়ে মিছিল বের করা হয়। সেদিন রাজাকার আব্দুল মছব্বিরের ছেলে জিল্লুর রহমানের নির্দেশে উপজেলা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত বিএনপি-জামাত সন্ত্রাসীরা মিছিলে হামলা করে। এতে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ময়নু খানসহ অনেক নেতাকর্মী আহত হন।
উপজেলা সভাপতি মিছবাহুদ্দোজা বলেন, শাহজাহান খান বিগত উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি-জামাত মদদপুষ্ট প্রার্থী হয়ে আ’লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করেন। এখন তিনি আওয়ামীলীগের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে নানা যড়যন্ত্র শুরু করেছেন। তার এই অপচেষ্টার অংশ হিসাবেই গত ১১ ফেব্রুয়ারী মিছিলে হামলা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক মিলন বখত, ইউপি চেয়ারম্যান শামসুন নূর আজাদ (পাঁচগাঁও), নাজমুল হক সেলিম (কামারচাক), শাহ শাহিদুজ্জামান ছালিক (উত্তরভাগ), নকুল চন্দ্র দাস (ফতেপুর), ছালেক মিয়া (মুন্সিবাজার), উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ময়নুল ইসলাম খাঁন, ছাত্রলীগ সভাপতি রুবেল আহমদ ছাড়াও বিভিন্ন অংঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
রাজনগর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজান খাঁন উপরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার পরিবারের কেউই বিএনপি কিংবা জামায়াতের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নয়। আমি ১৯৯১ সালে রাজনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। প্রবাসে গিয়েও আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম। উপজেলার সিন্ডিকেট ভাঙ্গার কারণে একটি মহল আমার উপর ক্ষেপে যায়। গত বৃহস্পতিবার পরিকল্পিতভাবে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে আমার মিছিলে হামলা করা হয়েছে। মিছিলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমার নেতাকর্মীদের ধাওয়া করা হয় এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল ও যুবলীগের সহ-সভাপতি সিজু গুলি করে।