মোহাম্মদ আবু তাহের
মানুষ সামাজিক জীব। সামাজিক দূরত্ব বা শারীরিক দূরত্ব এখন অনেক মানুষকে একধরণের অসামাজিক জীবের মত করে ফেলেছে। করোনাকালীন পৃথিবীর সকল মানুষই করোনার ভয়াল থাবা থেকে মুক্তি চায়। মানুষ ঘরে আর আটকা থাকতে চায় না। ঘরে আটকা থাকলে জীবন জীবীকা বিপর্যস্ত হয়। করোনা ভাইরাস অনেক মানুষের আয় উপার্জন বন্ধ করে দিয়েছে। অনেক মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। অনেকের বেতন কমেছে। অনেকের ব্যবসা বাণিজ্যে লাল বাতি জ্বলছে। অনেক ডাক্তাররা প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ করার কারণে অসুস্থ রোগীরাও চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পৃথিবীর মানুষ করোনা থেকে কবে মুক্তি পাবে তা পৃথিবীর কোন জ্ঞানী মহাজ্ঞানী বা বিজ্ঞানীরা বলতে পারছেননা। কখনো বলা হয় করোনা ভাইরাস বাতাসে ছড়ায় আবার কখনও শোনা যায় বাতাসে ছড়ায় না। এমতাবস্থায় প্রকৃতির কাছে মানুষের অসহায়ত্বের বিষয়টিও প্রমাণিত হচ্ছে। সবচেয়ে পরিতাপের বিষয় হলো করোনায় মৃত্যু হলে আত্মীয়স্বজন পাড়া প্রতিবেশী বন্ধু বান্ধব মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। লাশ থেকে করোনা ছড়ায় না, এটি অনেকেই মানতে চান না। আত্মীয় স্বজন সংক্রমণের ভয়ে লাশের কাছেই আসতে চায় না। অনেক লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করার সংবাদ ও জানা গেছে। করোনার শুরুতেই অনেক মানুষ ভয় পেয়েছিল। মনে হয়েছিলো সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর গজব মনে করে সামাজিক অপরাধের মাত্রা অনেক হ্রাস পাবে। কিন্তু অবস্থাদৃষ্ঠে মনে হয় সেই ধারণা ভূল প্রমাণিত হয়েছে। বন্ধ হয়নি খাদ্যে ভেজাল, মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রি সহ অন্যান্য অপরাধ। পরীক্ষা ছাড়া করোনার ভূয়া রিপোর্ট দিয়ে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্যের খবর শুনে গা শিউরে ওঠে। বিবেকবান মানুষ আতংকিত হয়ে পড়ে। তাছাড়া খুন,নারী নির্যাতন ধষর্নের ঘটনাও কমছে বলে মনে হয়না। আমরা যেন অন্ধকারের দিকে যাচ্ছি। সমাজ থেকে যেন মানবিকতা হারিয়ে যাচ্ছে। করোনাভাইরাস পুরো পৃথিবীর মানুষকে থমকে দিয়েছে। মানুষের প্রাণচাঞ্চল্যতা কেড়ে নিয়েছে। এ পরিণতি কেন হয়? আমরা তা বুঝতে চাইনা আমরা আত্মসমালোচনা করিনা। আমাদের দম্ভ, ঔদ্বত্য বেড়ে গিয়ে ছিলো আমরা আল্লাহর উপর ভরসা ছেড়ে দিয়ে ছিলাম। আমাদের অনেকেরই ভেতরটা কালো, অথচ আমাদের ভেতরটা থাকার কথাছিলো আলো। আমাদের অনেকের কাছেই ধর্ম কেবল আনুষ্ঠানিকতা কেবলই লোক দেখানো। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে আত্মরক্ষার জন্য সৃজনশীলতা, সৃষ্টিশীলতার ক্ষমতা দিয়েছেন পাশাপাশি মানুষ মানুষের প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য ও সহমর্মিতায় নির্দেশ ও দিয়েছেন। কিন্তু মানুষ সীমালংঘন করেছে। এজন্যই হয়তো করোনাভাইরাস শুরু হয়েছে, যার কারণে পুরো পৃথিবী কাপছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মানুষের মৃত্যু হলে আত্মীয়স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব সবাই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। সংক্রমণের ভয়ে লাশের কাছে ও যাচ্ছেন না। কিছু লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফনের খবরও প্রকাশিত হয়েছে।
কিন্তু কিছু কিছু মানুষের কারণে এখনও মনে হয় টিকে আছে মানবতা বেঁচে রয়েছে মনুষত্ব। করোনায় মৃতের লাশ যেখানে মা-বাবা, স্বামী,স্ত্রী, সন্তান নিতে চায় না, সেখানে সারাদেশে অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন করোনা ভাইরাসে মৃতদের দাফন কাফন করছেন। সৎকার করছেন। সারা দেশে করোনা ভাইরাসে মৃতদের দাফন প্রক্রিয়ায় ইসলামী ফাউন্ডেশন, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন সহ অনেক সামাজিক সংগঠন অসাধারণ ভূমিকা রাখছেন। যা সি:সন্দেহে প্রশংসার দাবী রাখে।
মানুষের বেঁচে থাকার জন্য একে অপরের সাহায্য সহযোগীতা প্রয়োজন। অপরকে সহযোগীতা করা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। কিন্তু এই সাহায্য সবসময় একা করা যায়না। সমমনা ব্যক্তিদের নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে সাহায্য সহযোগীতা করাটা অত্যন্ত সহজ। করোনাভাইরাস ও লকডাউনের সময় সারাদেশসহ মৌলভীবাজারের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মানুষের সহযোগীতার উজ্জ্বল দৃষ্ঠান্ত স্থাপন করেছেন। বিভিন্ন কল্যাণমূলক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য তরুণরা সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে মানবতার সেবায় নিজেদের নিয়োজিত রাখছে। নি:সন্দেহে এটি আশাব্যঞ্জক। সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে যারা সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছেন তাদের সরকারি বেসকারী পর্যায়ে স্বীকৃতি আরও বাড়ানো দরকার বলে মনে করি। সামাজিক সংগঠন তাদের সংগঠনের গঠনতন্ত্র দ্বারা পরিচালিত হয়। তাঁরা অন্যকোন অভিভাবক সংগঠনের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেনা। যেকোন সংগঠন যদি নিয়ম শৃঙ্খলা ও গঠনতন্ত্র মেনে চলে তাহলে ওই সংগঠনের স্থায়ীত্ব ও থাকে দীর্ঘদিন।
স্থানীয়ভাবে ও বিভিন্ন জেলা উপজেলায় প্রত্যস্ত অঞ্চলে অনেক সামাজিক সংগঠন করোনায় মৃতদের দাফন বা সৎকার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে সত্যিকারের সমাজসেবা বা কল্যাণমূলক কাজ করে যাচ্ছেন। সারাদেশের ন্যায় মৌলভীবাজারে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও করোনায় মৃতদের দাফন প্রক্রিয়ার মতো এই অসাধারণ কল্যাণমূলক কাজটি করে যাচ্ছেন। সংগঠনগুলো হলো শেখ বোরহান উদ্দিন (র.) ইসলামী সোসাইটি মৌলভীবাজার, তাকরীম ফাউন্ডেশন, ইকরামুল মুসলিমীন সহ অন্যান্য সংগঠন। শেখ বোরহান উদ্দিন (র.) ইসলামী সোসাইটি করোনায় মৃতদের দাফন কাফন বিষয়ে প্রশিক্ষন কর্মশালা ও করেছে। কর্মশালায় মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, সিভিল সার্জন তাওহীদ আহমদ, মৌলভীবাজার সরকারী কলেজ এর প্রিন্সিপাল, ড. প্রফেসর ফজলুল আলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান উপস্থিত ছিলেন। শেখ বোরহান উদ্দিন (র.) ইসলামী সোসাইটি জেলার ৭টি উপজেলায় মাস্ক বিতরণ ও সচেতনতা কার্যক্রম পালন করেছে। লকডাউনের কারণে কর্মহীন অসহায় মানুষদের মাঝে তিনধাপে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে। যে সমস্ত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ তাদের অভাব অনটনের কথা প্রকাশ করতে লজ্জাবোধ করেন তাদের বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছে। রমজান মাসে ১০০০ রোজাদারকে ইফতার করানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়ন ফোরাম মৌলভীবাজার জেলা কমিটি, লেখক ফোরাম মৌলভীজবাজার, নাটাব মৌলভীবাজার, যুগান্তর স্বজন সমাবেশ মৌলভীবাজার, ব্রিটিশ বাংলাদেশী ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশন মৌলভীবাজার জেলা শাখা সচেতনতা মূলক মাক্স বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। উল্লেখিত সামাজিক সংগঠন ছাড়াও আরো অনেক সংগঠন যারযার সামর্থ অনুযায়ী মানবিক সহায়তা ও সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। বিত্তশালী অনেক মানুষ ব্যক্তিগত উদোগে ও সামাজিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এসমস্ত কার্যক্রম মানুষের আশা ও ভরসা জাগায় নি:সন্দেহে।
যে কোনো সভ্য দেশে বিভিন্ন সোসাইটি, সুশীলসমাজ বা অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান থাকে যারা জনগণের পক্ষে কথা বলে। পাশাপাশি অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনগুলো সামাজিক উন্নয়ন ও দেশের উন্নয়ন মানবতা এবং নৈতিকতার উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। লন্ডন ভিত্তিক প্রবাসী সিলেটিদের সামাজিক সংগঠন “ফ্রাউড টুবি সিলেটের” পক্ষ থেকে করোনাকালীন সাহসী ও মানবিক ভূমিকা রাখার জন্য শেখ বোরহান উদ্দিন (র.) ইসলামী সোসাইটি ও তাকরীম ফাউন্ডেশনকে নগদ পঁচিশ হাজার টাকা করে পুরস্কৃত করা হয়েছে। নিঃসন্দেহে এটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। যারা ভালো কাজ করেন তাদেরকে উৎসাহিত করা সকল সভ্য সমাজের অগ্রগতির মূলমন্ত্র। সমাজসেবা বা সামাজিক কাজ করতে হলে অবশ্যই আমাদের একটা সংবেদনশীল মনের অধিকারী হতে হবে। আমাদের দান্ডিকতা, স্বার্থপরতা এবং শত্রুভাবাপন্ন মানসিকতা ত্যাগ করতে হবে। সাদাকে সাদা ও কালোকে কালো বলতে হবে। দেশ সুন্দর হবে এই পৃথিবী সুন্দর হবে যদি আমরা মিলনের সূত্র খুঁজি, আমরা বিভেদের সূত্র না খুঁজি। পবিত্র কুরআনে এরশাদ হচ্ছে তোমরা কল্যানমূলক কাজে প্রতিযোগীতার মাধ্যমে অগ্রসর হও। (সূরা বাকারা আয়াত-১৪৮)
হযরত আলী (রা.) বলতেন ভালো ও খারাপের মধ্যে অবশ্যই প্রভেদ করতে হবে। তিনি মিসরের নবনিযুক্ত গভর্নরকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। সে চিঠিতে তিনি বলেছিলেন ভালো ও খারাপের মধ্যে প্রভেদ করবে। যারা ভালো তাদেরকে উৎসাহিত করবে এবং যারা খারাপ তারা যেন খারাপ কাজ না করে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এটিই বিশ্বের সব সভ্যসমাজের মূলসূত্র।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে মৌলভীবাজারের দুটি সামাজিক সংগঠনকে “ফ্রাউড টুবি সিলেটের” পক্ষ থেকে যে সম্মাননা দেয়া হয়েছে তা একটি চমৎকার উদ্যোগ বলে মনে করি। দুটি সামাজিক সংগঠনকে স্বীকৃতি দেয়ার কারণে শুধু যে তারাই উৎসাহিত হবেন তা নয়। যারা ভালো কাজ করতে চান যারা সমাজসেবা করতে চান সে সমস্ত সংগঠনের উপর ও এর প্রভাব পড়বে। ফ্রাউড টুবি সিলেট কর্তৃপক্ষকে আমি অভিনন্দন জানাই। যে দুটি সংগঠনকে পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন করা হয়েছে তাদেরকে অভিনন্দন জানাই। মৌলভীবাজারস্থ বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের প্রবাসীরা করোনামহামারীতে দেশের মানুষের জন্য অনেক ভূমিকা রাখছেন। শুধু করোনাকালেই নয় প্রবাসী সিলেটিরা স্বাধীনতার ও পূর্বকাল থেকে দেশগঠনে দেশের আত্মীয়স্বজন, মসজিদ মাদ্রাসা, মন্দিরে শিক্ষা সংস্কৃতি খেলাধুলায় অসামান্য অবদান রেখে আসছেন। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সে সিলেটের উল্লেখযোগ্য অবদানের কথা সকলের কাছেই স্বীকৃত। করোনামহামারীর মধ্যেও বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজাভ ৪ হাজার ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। আমরা অনেকেই নিজের দায়বদ্ধতা থেকে সামাজিক কাজ করতে চাই না। আমরা যতনা কাজ করি তার চেয়ে অনেক বেশী অন্যের সমালোচনা করতে ভালোবাসি অন্যের সমালোচনা করাকে প্রাধান্য দেই। প্রকৃতপক্ষে যারা কাজ করে তাদের সমালোচনা করতে কোন যোগ্যতা লাগেনা, কিন্তু সমালোচিত হতে হলে যোগ্যতার প্রয়োজন হয় সেকথাটি আমরা সবসময় ভূলে যাই।
শেখ বুরহান উদ্দিন ইসলামী সোসাইটি দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সামাজিক সংগঠন হিসেবে মৌলভীবাজারে কাজ করছে। শিক্ষার উন্নয়নে, মেধার বিকাশে কল্যাণমূলক কাজে সামাজিক উন্নয়নে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই অসাধারণ অবদান রেখে আসছে। সামাজিক উন্নয়নে এই সংগঠনটির ভূমিকা প্রশংসনীয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় বলেছিলেন নানা দূর্ভোগে ও বাংলাদেশের মানুষ কাবু হবেনা। বরং বেঁচে থাকার লড়াইয়ে নিজেদের ইচ্ছাশক্তির জোরেই জয়ী হবে শেষ পর্যন্ত। বঙ্গবন্ধুর মহামূল্যবান এই উক্তির সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে বিভিন্ন সময়ে।
প্রয়োজনের সময় সাধ্যমত দূর্গত মানুষের সাহায্য সহযোগীতা করার দৃষ্ঠান্ত রয়েছে এ দেশের মানুষের। এদেশের রাজনৈতিক দল, সরকারি, বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থা ও দেশের সামাজিক সংগঠন সমূহের। করোনা মহামারী চলাকালে এশিয়ার সবগুলো দেশের মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশী প্রবৃদ্ধি হয়েছে। বিশ্বব্যাংক ও আই এফ এম ধারণা করেছিলো বিশ্বের কোনো দেশের জি ডি পির প্রবৃদ্ধি ৩.৩৮ শতাংশের বেশী হবে না। কিন্তু বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বর্তমানে ৫.২৪ শতাংশ। এটি বাংলাদেশের অসাধারণ সাফল্য। গাব্রিয়াল গার্সিয়া মার্কেসের একটি মহামূল্যবান উক্তির মাধ্যমেই লেখাটি শেষ করতে চাই।
তিনি তাঁর নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী ভাষনে বলেছিলেন “মানুষের পরাজয় নাই এজন্য যে, তার ভাষা আছে, তা এজন্য যে, তাঁর আত্মা আছে”। বাংলাদেশের মানুষের ও পরাজয় নেই ইতিহাস তাই শিক্ষা দেয়।
লেখক: কলামিষ্ট,গবেষক ও ব্যাংকার