ষ্টাফ রিপোর্টারঃ মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ উপ-নির্বাচনে দায়িত্বহীনতার আরেক নজির সৃষ্টি করলো মৌলভীবাজার জেলা নির্বাচন অফিস।
মঙ্গলবার মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ উপ-নির্বাচনে দেখা যায়, সাংবাদিকদের পর্যবেক্ষণের জন্য ২০১৬ সালের সরবরাহকৃত পুরোনো ফটোকপি কাগজে সাংবাদিদের পাস কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। পাশাপাশি উপ-নির্বাচনের জায়গায় লেখা আছে জেলা পরিষদ নির্বাচন। অথচ এই নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করছে। জেলা নির্বাচন অফিসারের দায়িত্বহীন কর্মকান্ডে জেলার সিনিয়র সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে পর্যবেক্ষণ কার্ড নিয়ে জেলাজুড়ে সাংবাদিক মহলে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কর্তব্যের অবহেলাকে দায়ী করেছেন সচেতন মহল। প্রথম শ্রেণির জাতীয় পত্রিকার প্রতিনিধিদেরকে নানা অজুহাতে কার্ড না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিভিন্ন উপজেলার সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা।
কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ উপ-নির্বাচন চলছে। নির্বাচনের পেশাগত দায়িত্বপালন করতে সংগঠন থেকে মৌলভীবাজার জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে পর্যবেক্ষণ কার্ডের জন্য আবেদন করা হয়। সোমবার রাতে কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গলসহ জেলার সবকয়টি উপজেলার সাংবাদিকদের সাংবাদিক পর্যবেক্ষণ কার্ড ইস্যু করা হয়। জেলা নির্বাচন অফিসার আলমগীর হোসেনের স্বাক্ষরিত পর্যবেক্ষণ কার্ড হাতে পেয়ে আমরা অবাক। কার্ডের উপরে জেলা পরিষদ নির্বাচন ২০১৬ লেখা অথচ নির্বাচন হচ্ছে ২০২০ সালে।
সাংবাদিকরা স্ব স্ব পত্রিকার নাম দিলেও কার্ডে নাম লেখা ছাড়া সব কলাম খালি ছিল। আবার অনেকের কার্ডে দেখা গেছে, শুধু স্বাক্ষর ও সিল ছাড়া পুরো কলামই খালি। এ যেন নির্বাচন কমিশনের ইচ্ছেমাফিক কাজ। সরকারের অন্যতম একটি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান জেলা পরিষদ। সেখানে ভোটার হচ্ছেন জনগণের নির্বাচিত স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা। এমন একটি নির্বাচনের জন্য কি নতুন করে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অফিস পর্যবেক্ষণ কার্ড তৈরি করতে পারতো না, এমন প্রশ্ন সবার মুখে মুখে।
জেলার সাংবাদিকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কার্ড পোস্ট করে নিন্দা প্রকাশ করেছেন। সবাই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব ও কর্তব্যের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সাংবাদিকরা যোগাযোগ করলে বলা হয়, কলম দিয়ে কার্ডে ২০২০ লিখে নিতে? প্রশ্ন হলো, তাহলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কি টাকা বাঁচাতে ফটোকপি করে কার্ড ইস্যু দিয়েছে?
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার আলমগীর হোসেনের কাছে পুরাতন কার্ড ইস্যু করার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।