ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
প্রচারণা অপপ্রচারণা লবিং মোভিং এবং মেরুকরণের যবণিকা টেনে আগামীকাল মঙ্গলবার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার আলোকে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনকে নিরপেক্ষ এবং প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য জেলা নির্বাচন কর্তৃপক্ষ ভোট দান প্রক্রিয়াকে সহজতর করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট ৭টি উপজেলাতে ১৫টি ভোট কেন্দ্র স্থাপন করেছেন। নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রতি কেন্দ্রে একজন করে প্রিসাইডিং অফিসার-২ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং ৪ জন পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচনে ৬৭টি ইউনিয়ন, ৫টি পৌরসভা এবং ৭টি উপজেলা পরিষদের ৯৪৪ জন নির্বাচক মন্ডলী সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোট প্রয়োগ করবেন। নির্বাচন যাতে স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ হয়, সে লক্ষ্যে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগের পাশাপাশি প্রতিটি কেন্দ্রে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সার্বক্ষণিক উপস্থিতি সহ র্যাব বিজিবির টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে রিটানিং কর্মকর্তা জানিয়েছেন। নির্বাচনের নিরপেক্ষতার ব্যাপারে বিভিন্ন মহলের সংশয় এবং জোরপূর্বক কেন্দ্র দখলের ব্যাপারে রিটাণিং কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন- এটি ¯্রফে অপপ্রচারণা মাত্র। যে কোন মূল্যে আইনশৃঙ্খলা সহ নির্বাচনী স্বচ্ছতা বহাল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য জেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান গত ১৮ আগষ্ট মৃত্যুবরণ করলে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মিছবাউর রহমান এবং একই ঘরানার এম.এ.রহিম স্বতন্দ্রপ্রার্থী হিসেবে পরষ্পর প্রতিদ্বন্দ্বীতায় অবতীর্ণ হয়েছেন। ফলে এ নির্বাচনে সাধারণ জনতা অংশ নিতে না পারলেও নির্বাচনকে ঘিরে তাদের কৌতুহল আছে অনেক।