ষ্টাফ রিপোর্টারঃ মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে চশমা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান। অবৈধ করাতকল (স’মিল) স্থাপন করায় ২০১৭ সালে দায়ের করা বন বিভাগের একটি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। মামলাটি মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বন আদালতে চলমান রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে মামলাটি স্বাক্ষী গ্রহণ অবস্থায় রয়েছে। এদিকে একই ঘরানার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী এম এ রহিমের উপরও দুটি মামলা ছিল। পরবর্তীতে তিনি ওই মামলা দুটি থেকে অব্যাহতি পান।
মামলার এজহার থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল তৎকালিন মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন কোদালীছড়ায় স্থাপিত মিছবাহুর রহমান এর করাত-কলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার করাত-কলের লাইসেন্স দেখতে চাইলে মিছবাহুর রহমান কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তাৎক্ষণিকভাবে স’মিলকে অবৈধ ঘোষণা করেন। তখন উপজেলা নির্বাহী অফিসার স’মিলের যন্ত্রাংশ এবং স’মিলে রাখা কাঠ জব্দ করে মৌলভীবাজার রেঞ্জ কার্যালয় শ্রীমঙ্গলে পাঠান।
এ সময় অভিযানকারীরা গর্জন গোল কাঠ, ম্যানজিয়াম গোল কাঠ, ম্যানজিয়াম চিড়াই কাঠ, করাত কলের যন্ত্রাংশ জব্দ করেন। এতে ৭৮ হাজার ২’শ ৭০ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
জেলার সচেতন মহল বলছেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে মিছবাহুর রহমান এ স’মিল পরিচালনা করতেন। ক্ষমতাশীন দলের নেতা হওয়ায় বন বিভাগের কেউই তার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করার সাহস পায়নি। অবৈধ এ স’মিল পরিচালনা করে তিনি লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হয়েছেন।
এ বিষয়ে তৎকালিন ফরেষ্টার রেঞ্জ কর্মকর্তা চাম্পা লাল বৈদ্য বলেন, মামলায় আমিও স্বাক্ষী দিয়েছি। হয়তো কিছু দিনের মধ্যে রায় হয়ে যাবে।
মৌলভীবাজার বন বিভাগের কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, অভিযানের পর থেকে স’মিলটি চালু হয়নি। আগামী ২৯ অক্টোবর স্বাক্ষী গ্রহণের দিন ধার্ষ রয়েছে।