ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ও সরকারি টিএসসিতে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ২০২০ সালের ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে যেকোন বয়সের শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ বাতিল করে ২০১৯ সালের ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও ভর্তি কার্যক্রম শুরুর দাবিতে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী সমীপে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
৫ আগষ্ট (বুধবার) জেলা প্রশাসকের নিকট প্রেরণকৃত বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স সার্ভিস এসোসিয়েশন সমন্বয় পরিষদ মৌলভীবাজার জেলা শাখা, বাংলাদেশ পলিটেকনিক শিক্ষক সমিতি(বাপশিস) মৌলভীবাজার পলিটেকনিক শাখা ও বাংলাদেশ কারিগরি ছাত্র পরিষদ (বাকাছাপ) মৌলভীবাজার পলিটেকনিক শাখার স্মারকলিপিতে পলিটেকনিকে বিদ্যমান প্রকট শিক্ষক সংকট, ক্লাসরুম, ল্যাব ও ওয়ার্কশপ সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দ্রুত বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ারও আহ্বান জানানো হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিতর্কিত ভর্তি নীতিমালার ফলে ব্যাপক ছাত্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। যা শিক্ষার্থীদের আরো অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত করবে। এর দায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এড়াতে পারবে না। বিতর্কিত, অন্যায়, বিধি বহির্ভুত, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার জন্য ক্ষতিকর ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার না করলে ৬ আগস্ট এর পর কোভিড-১৯ এর দুর্যোগ উপেক্ষা করে এ শিক্ষার অস্তিত্ব রক্ষায় রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে মর্মে স্মারকলিপিতে হুশিয়ারি দেন।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স সার্ভিস এসোসিয়েশন সমন্বয় পরিষদ মৌলভীবাজার জেলা শাখার আহবায়ক মোঃ কামারুজ্জামান ও সদস্য সচিব আব্দুল মুমিন, বাংলাদেশ পলিটেকনিক শিক্ষক সমিতি(বাপশিস) মৌলভীবাজার পলিটেকনিক শাখার সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ, বাংলাদেশ কারিগরি ছাত্র পরিষদ (বাকাছাপ) মৌলভীবাজার পলিটেকনিক শাখার সদস্য সচিব কামরান আহমদ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাপশিসের সদস্য ইমতিয়াজ আহমেদ চৌধুরী, বাকাছাপের সদস্য অমিত পাল।
আহবায়করা বলেন, নানাবিধ সংকটে যখন পলিটেকনিক শিক্ষাব্যবস্থা হুমকির মুখে, শিক্ষকের অভাব ও ল্যাব-ওয়ার্কশপের সংকটের কারণে প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণ করতে না পেরে উৎকণ্ঠিত ঠিক সেই মুহূর্তে প্রকৃত সমস্যা সমাধান না করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক ভর্তি নীতিমালা চাপিয়ে দিয়েছে।
বাকাছাপের আহবায়ক আব্দুল আহাদ বলেন, এমনিতেই ক্লাসের পড়াশোনা গোছাতে সমস্যা হয়, তারমধ্যে যদি ছোট বড় সবাই এক ক্লাসে থাকি তাহলে পড়াশোনার ব্যাপারে যোগাযোগ মাধ্যমটা কঠিন হয়ে পড়বে, বাড়বে বয়সের সাম্প্রদায়িকতা। ক্লাসের মধ্যেই শুরু হবে সিনিয়র-জুনিয়র রাজনীতি।