স্টাফ রিপোর্টার ঃ
করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় সিলেট বিভাগের চারটি জেলার মধ্যে মৌলভীবাজার জেলার অবস্থান সর্বনি¤েœ। প্রতিদিন নমুনা সংগ্রহ করে সিলেটের দু’টি পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করা হলেও ৪/৫ দিনের রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট “ওয়েটিং বা´ে” পড়ে থাকছে গুরুত্বহীন অবস্থায়। অত:পর কিছু কিছু নমুনার রেজাল্ট পাঠানো হচ্ছে সিভিল সার্জনের অফিসে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে- গত সপ্তাহে মৌলভীবাজার থেকে সিলেটে নমুনা পাঠানো হয়েছে সাড়ে তিন হাজারের ও অধিক। কিন্তু রেজাল্ট পাওয়া গেছে দেড় হাজারের মতো। এমতাবস্থায় সম্ভ্রাব্য সংক্রমিতদের ফ্রি ষ্টাইল চলাফেরায় সংক্রমণের জাল কেবলই প্রসারিত হচ্ছে। নমুনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে মৌলভীবাজার জেলাকে পেছনে রাখার হেতু কি- তা নিয়ে আছে ধ¤্রজাল। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মতে সিলেটস্থ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শাহ জালাল বিশ্ব বিদ্যালয়ে নমুনা পরীক্ষার জন্য দু’টি পিসিআর ল্যাব রয়েছে। সংগৃহীত নমুনার ভীড়ে তাই নমুনা পরীক্ষা বিলম্বিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে সিলেট, হবিগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জকে দুদিনের সংগৃহিত নমুনারেজাল্ট প্রেরণ করা হলেও মৌলভীবাজারে আসছে ৩/৪ দিন অন্তর। বিষয়টিকে অবহেলা কিংবা বিমাতা সুলভ আচরণের সাথে তুলনা করা হচ্ছে। অন্যদিকে নমুনা পরীক্ষাকে গতিশীল করার লক্ষ্যে হবিগঞ্জে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের জন ১টি পিসিআর ল্যাব এবং সিলেটস্থ কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের জন্য অপর একটি ল্যাব স্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীর অধ্যনে সিলেটস্থ যক্ষাব্যাধী হাসপাতালে একটি এবং সুনামগঞ্জে অপর একটি পিসিআর ল্যাব মেসিন স্থাপনও প্রক্রিয়াধীন আছে। বাকী রইলো শুধু মৌলভীবাজার। হারাধনের ছেলে হিসেবে মৌলভীবাজারের ভাগ্যে কি পিসিআর ল্যাব স্থাপন সুদূর পরাহতই থাকবে?
Post Views:
0