কুলাউড়া প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ছকাপন গ্রামে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন আইস্ক্রীম বিক্রেতা হতদরিদ্র রিয়ান মিয়া এবং তার নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে রেহানা। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ১৬ এপ্রিল রাতে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, রিয়ান মিয়ার স্ত্রী রুজিনা বেগম প্রায় বছর খানেক আগে তার সৌদি প্রবাসী বোন রুবিনার অনুরোধে কুলাউড়া থেকে স্বামী এবং চার মেয়েসহ ছকাপনে এসে রুবিনার ঘরে আশ্রিত হিসাবে থেকে দেখবাল করা শুরু করেন।
বর্তমানে রুবিনা দেশে ফিরে তার ভাই লেচু মিয়ার ছেলের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে দিতে মনস্ত করে এবং রুজিনাকে ঘর ছেড়ে দিতে নানাভাবে শারীরিক নির্যাতন চালাতে থাকে রুবিনার মেয়ে ও ভাই লেচু। গত ১৬ই এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল এগারোটার দিকে লেচুর ভাড়া করা বাতির, বাতিরের স্ত্রী সজনা, শ্বাশুড়ি ছায়া এবং ছেলে লিটন মিলে রুজিনার অনুপস্থিতিতে তার স্বামী আইস্ক্রীম বিক্রেতা হতদরিদ্র রিয়ান মিয়া এবং তার নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে বাড়িতে এসে অকস্মাৎ আক্রমণ করে। ধানের ভার বহনের বাঁশ (হুজা) দিয়ে বাতির চোখের পলকে রিয়ানের মাথায় প্রচণ্ড জোরে আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে মারাত্মক জখম করে। রিয়ান মিয়া হাত দিয়ে আটকাতে গেলে তার হাতও ফেটে যায়। ছায়া, লিটন এবং সজনা মিলে ছকাপন হাই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী রিয়ানের বড় মেয়েকে কিল-ঘুষি লাথি মেরে জখম করে। মাথায় আঘাতের ফলে রিয়ান অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণের কারণে তার জ্ঞান না ফেরায় এলাকার লোকজন রিয়ানকে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা রিয়ানকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে পাঠান। তার মেয়ে রেহানাকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়।
কাদিপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আতাউর রহমান আতিক বলেন, হাঁসে ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষ মামলা দায়েরের জন্য থানায় দৌঁড়াদৌঁড়ি করছে। আমরা শালিসের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করছি।
কুলাউড়ায় হামলায় গুরুতর আহত দিনমজুর
