মাহিরুল ইসলাম
মৌলভীবাজারে করোনা প্রাদুর্ভাব রোধে সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটরগন ঘরে বসে নেই। সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত ৪৪ টি ইউনিয়নে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই নিজেদের দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করে যাচ্ছেন হিসাব সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটরগন।
বিশ্বব্যাপী নভেল করোনা মহামারী আকার ধারন করায় সরকারের পক্ষ থেকে সবাইকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। এতে করে যারা দিন আনে দিন খায় তারা পরেছে সবচেয়ে বিপাকে। তাই উপার্জনহীন মানুষকে সরকার খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন। গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের জনগণকে যখন বলা হচ্ছে ঘরে অবস্থানের কথা ঠিক তখন জেলা প্রশাসক জনাব বেগম নাজিয়া শিরিন মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় মাঠ পর্যায়ে সেবা দিতে ছুটে চলে মৌলভীবাজার ইউ,পি চেয়ারম্যান, সদস্য, ইউপি সচিব, হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, উদ্যোক্তা সহ গ্রাম পুলিশগন। তারা জনসচেতনতায় মাঠ পর্যায়ের সরকারের সকল কাজ বাস্তবায়নে ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।
জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরগণ এই দূর্যোগকালীন মুহুর্তে দু:স্থ অসহায়, রিক্সাচালক, ভ্যানচালক,পরিবহন শ্রমিক, কর্মহীন দিনমজুর,ফেরিওয়ালা, প্রতিবন্ধি, ভবঘুরে, ভিক্ষুক, কৃষি শ্রমিক, মৎসজীবি, হোটেল শ্রমিক, চায়ের দোকানদার, ও অন্যান্য উপকার ভোগীদের তালিকা জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় প্রস্তুত করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন ও প্রতিটি দপ্তরের চাহিদা অনুযায়ী তারা বিদেশ ফেরতদের তালিকা প্রণয়ন, করোনা প্রতিরোধে ইউনিয়ন কমিটি,ওয়ার্ড কমিটি, সেচ্ছাসেবী কমিটি অত্যন্ত দক্ষতা ও দ্রুততার সাথে কম্পিউটারাইজ করে প্রেরন করেছেন। এছাড়া জরুরী ত্রাণ, কার্যক্রম হিসেবে ভিজিএফ, ভিজিডি, জিআর চাল উত্তোলণ, গুদামজাতকরণ ও বিতরণ কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
লেখকঃ ইউনিয়ন পরিষদ হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেট, কুলাউড়া সদর ইউনিয়ন।