ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজার সদর উপজলোর আনিকেলীবড় এলাকায় মেরাজ মিয়া হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ভাবীর সাথে দেবরের পরকীয়ার কারণে বড় ভাই মেরাজ মিয়াকে পথের কাটা মনে করে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে ছোট ভাই বদরুল মিয়া। তাকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার আনিকেলীবড় গ্রামের মেরাজ মিয়া নিজ ঘরে ইফতার শেষে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। পরদিন ১ মে বিকেল ৪টার দিকে এলাকাবাসী খালের মধ্যে মেরাজের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে মৌলভীবাজারের সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠায়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান প্রাথমিক অবস্থায় পুলিশ নিহত মেরাজের ছোট ভাই বদরুল মিয়া ও এলাকার কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার সাথে জড়িত ছোট ভাই বদরুলকে সন্দেহ হয়। নানা কৌশলে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকেন। বদরুল কিছু স্বীকার না করে কীভাবে কি হয়েছে তা আল্লাহ জানেন বলে এড়িয়ে যেতে চাইলেও ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে এক পর্যায়ে সে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। ভাবীর সাথে বদরুলের দীর্ঘদিনের পরকীয়া ছিল। তারা কোরআন স্বাক্ষী রেখে নিজেরা গোপনে বিয়ে করেছে প্রায় দুই বছর আগে। কয়েক দিন আগে পরকীয়ার বিষয়টি বড় ভাই জানতে পারলে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। হত্যাকান্ডের ৩দিন আগে নিহতের স্ত্রী এক ছেলে (৫) এবং এক মেয়ে (৮) কে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান। এতে বদরুল ক্ষুব্ধ হয় এবং বড় ভাইকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
পুলিশ আরো জানায়, বৃহস্পতিবার ইফতারের পর মেরাজ মিয়া বাড়ি থেকে বের হয়ে পার্শ্ববর্তী বাজারে গেলে ঘটনাস্থলের পাশেই অবস্থান নেয় বদরুল। রাত ১০টার দিকে যখন বড় ভাই মেরাজ বাজার থেকে ফিরছিলেন তখন লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে বড় ভাই মেরাজ। এরপর একাধারে আঘাত করে মুত্যু নিশ্চিত করে বাড়িতে চলে যায়। যেহেতু সবাই আলাদা এবং ঘরে স্ত্রী নেই তাই সে রাতে কেউ আর মেরাজের খোঁজ নেয়নি।