ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
করোনা ভাইরাসের সূত্রধরে পর্যটন খ্যাত মৌলভীবাজারের প্রায় সবকটি পর্যটন স্পট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে অফিসিয়ালভাবে এখন পর্যন্ত জেলার রিসোর্ট ও হোটেল গুলো বন্ধ হয়নি। পর্যটন আসতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় লোকসানে পড়েছেন হোটেল ও রিসোর্ট ব্যবসায়ীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার মাধবকুন্ড জলপ্রপাত অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমনের শঙ্কায় বৃহস্পতিবার ১৯ মার্চ সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এই মূহূর্তে বেড়াতে না আসার জন্য পর্যটকদের প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে। মাধবকুন্ড ইকোপার্কের ইজারাদার ছালেহ্ আহমদ জুয়েল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘জনসমাগমে করোনাভাইরাস সংক্রমনের ঝুঁকি রয়েছে। পর্যটকদের প্রতি বেড়াতে না আসার জন্য আহ্বান করছি। প্রবেশ গেটে বন্ধের ব্যানারও টানিয়ে দেয়া হবে। জেলার কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে পর্যটকদের প্রবেশ সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. শফিউল আলম চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন।
এদিকে করোনা ভাইরাস এর সংক্রমণ প্রতিরোধের নিমিত্তে সরকার প্রজ্ঞাপন দ্বারা জনসমাগম নিষিদ্ধ করায় জেলার মাধবপুর চা-বাগান লেইক, বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ, হামহাম জলপ্রপাত, আদিবাসী খাসিয়া পুঞ্জি, মণিপুরি এলাকা ও চা-বাগান এলাকায় ভ্রমণে পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
এবিষয়ে লাউয়াছড়া খাসিয়া পুঞ্জির মান্ত্রী (পুঞ্জি প্রধান) ফিলা পতমী জানান, করোনাভাইরাস নিয়ে এমনিতেই খাসিয়া পরিবারগুলোর সদস্যরা আতঙ্কিত। তাই পর্যটকদের ভ্রমণ কিছুদিনের জন্য বন্ধ রাখা উচিত।
লাউয়াছড়া বনবিট কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিদিন শত শত পর্যটক এখানে ভ্রমনে আসেন। এদের মধ্যে বিদেশী পর্যটকও আছে। তাদের কারা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত তা বোঝার উপায় নেই। এজন্য বন্ধ রাখা জরুরি।
Post Views:
0