স্টাফ রিপোর্টারঃ মৌলভীবাজারে প্রতিনিয়ত সড়ক দূর্ঘটনা বেড়েই চলছে। কিন্তু দুর্ঘটনা এড়াতে প্রশাসন কিংবা জনপ্রতিনিধিদের তরফ থেকে এপর্যন্ত কার্যকরি কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। জেলার সচেতন নাগরিকরা বলছেন, অদক্ষ ড্রাইভার, পথচারীদের সচেতনতা ও ওভারটেকের কারণেই সড়ক দূর্ঘটনার সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। দূর্ঘটনার জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে ড্রাইভারদেরকেই তারা দায়ি করছেন। এজন্য জেলা বিআরটিএ অফিসকেই দায়ি করছেন জেলার সচেতন নাগরিকরা। অভিযোগ রয়েছে মৌলভীবাজার বিআরটিএ অফিস কোনো প্রকার পরীক্ষা ছাড়াই বাড়তি টাকার বিনিময়ে প্রতি মাসে কয়েকশ ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়। জেলা আইন শৃঙ্খলা সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হলে বাম হাতের লেনদেন এখন পর্যন্ত বন্ধ হয়নি। জেলা বিআরটিএ অফিসের সহকারী পরিচালক হাবিবুর রহমানের কুটির জোর কোথায় এমন প্রশ্ন জেলার সাধারণ মানুষের মধ্যে।
এদিকে জেলায় কয়েক হাজার সিএনজি চালক রয়েছে যাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। অথচ এদের কারনেই প্রতিনিয়ত জেলার কোনো না কোনো জায়গায় দূর্ঘটনা হচ্ছে। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন এসকল ড্রাইভারদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে জানা যায়, গত ২২ অক্টোবর থেকে এপর্যন্ত ১ বছরে জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২৭টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৬, শ্রীমঙ্গলে ৭, কমলগঞ্জে ৪, কুলাউড়ায় ৪, বড়লেখায় ৩ ও জুড়ীতে ৩টি মামলা হয়েছে। দুর্ঘটনার কারন উদঘাটন করতে পুলিশের তদন্ত অব্যাহ রয়েছে।
নাম গোপন রাখার শর্তে মৌলভীবাজার জেলা বারের একজন আইনজীবি বলেন, প্রতিমাসেই কোর্টের পাশে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ড্রাইভিং লাইসেন্সে জন্য আবেদনকারীদের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা নেয়া হয়। কিন্তু দেখা গেছে অনেকেই প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় উত্তির্ণ হতে না পারলেও পরবর্তীতে ড্রাইভিং লাইসেন্স পান। আবার এমনও নজির রয়েছে কোনো ধরনের পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ না করেও মৌলভীবাজার বিআরটিএ অফিস থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার।
মৌলভীবাজার বিআরটি অফিস দালালদের অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে। এখানে দালালদের মারফত ছাড়া কোনো কাজই করানো সম্ভব নয়। প্রতিদিন ২৫/৩০ জন দালাল এখানে কাজ করেন। এনিয়ে গণমাধ্যমে একাধিক সংবাদ প্রকাশ ও দুদকের অভিযান পরিচালিত হলেও কোনো পরিবর্তন হয়নি।
এবিষয়ে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি খিজির মুহাম্মদ জুলফিকার বলেন, অধিকাংশ ড্রাইভার পরীক্ষা না দিয়ে দালালের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করে। তাদের অদক্ষতার কারনেই প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা বড়ছে।
জেলা বিআরটিএ অফিসের সহকারী পরিচালক হাবিবুর রহমান অভিযোগ গুলো অস্বীকার করে বলেন, পরীক্ষায় উত্তির্ণ না হল কোনো অবস্থাতেই ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া হয় না।
Post Views:
0