ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২৫ জুলাই মারাযান মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আজাদ মিয়া। মৃত্যু’র ১ মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত আজাদের লাশ বাংলাদেশ আসেনি। ছেলের মৃত মুখ একনজর দেখার জন্য আহাজারি করছেন পরিবারের সদস্যরা। পরিবার ও প্রবাসী নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশী হাই কমিশনের অবহেলার কারনে আজাদের লাশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের খলিফা হাসপাতাল মর্গে ১ মাস যাবত পড়ে আছে। নিহত আজাদ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের বরচেক গ্রামের মৃত উস্তার মিয়ার ছেলে।
ইউএই’র বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আজাদের লাশ দেশে পাঠানোর জন্য জোর দাবি জানালেও এগিয়ে আসেনি হাই কমিশন।
মৃত আজাদের মা রুকিয়া বেগম বলেন, আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনের কর্মকর্তারা আমার ছেলের লাশ নিয়ে অমানবিক আচরণ করছেন। তার বৈধ সকল কাগজপত্র থাকার পরেও সরকারের নিয়োগকৃত কর্মকর্তারা লাশ দেশে পাঠানোর ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি।
প্রবাসী নেতৃবৃন্দ বলেন, ভিজিট ভিসায় আরব আমিরাতে গিয়ে দেশের চলমান আইন অনুযায়ী বিজনেস পেশায় (এক্বামা) আইডি লাগান আজাদ। পাশাপাশি কাজও শুরু করেন। ২৫ জুলাই আল-আইন শহরে কর্মস্থলে থাকাবস্থায় একটি শেওল গাড়ি স্টিলের রেডিমেট ঘরে ধাক্কা দিলে ঘরটি সাথে সাথে বিদ্ধস্ত হয়ে আজাদের উপরে পড়ে যায়। আজাদের মাথা ও শরীর থেতলে প্রচন্ড আঘাত পেলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পরবর্তীতে আজাদের লাশ দেশে পাঠানোর জন্য সংযুক্ত আরত আমিরাতস্থ জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজিদুর রহমান সাচ্চু’র নেতৃত্বে একটি টিম হাই কমিশনে সাথে দেখা করেন। এসময় এম্ব্যাসেডর বেলাল উদ্দিন তাদেরকে বলেন, এই প্রফোশনের শ্রমিকের লাশ সরকারি খরচে দেশে পাঠানো যাবে না।
Post Views:
0