স্টাফ রিপোর্টারঃ মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের গাইনী বিভাগে টেনে হিঁচড়ে মায়ের গর্ভ থেকে নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে। সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও জেলার সচেতন নাগরিকরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
কমলগঞ্জ উপজেলার ভানুগাছ কুমরা-কাপন গ্রামের আউয়াল হাসান বলেন, রোববার সকালে তার গর্ভবর্তী স্ত্রী সুমনা বেগমকে নিয়ে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের গাইনী বিভাগে ভর্তি হন। এসময় দায়িত্বরত নার্সরা সুমনার অবস্থা দেখে সিজারের পরামর্শ দেন। সিজারের জন্য ১ ব্যাগ রক্ত ও ঔষধ নিয়ে আসার কথাও বলেন। নার্সদের পছন্দের ফার্মেসী থেকে ঔষধ ও রক্ত কিনে আনার জন্য আউয়াল হাসানের সাথে নার্সরা তাদের মনোনীত একজন লোক দেন। কিন্তু আওয়াল নার্সের দেয়া লোককে বিদায় করে তুলনা মূলক কম দামে অন্য ফার্মেসী থেকে ঔষধ ও রক্ত নিয়ে এসে দেখেন নার্সরা নরমাল ডেলিভারীর কথা বলে সুমনাকে তার শাশুড়ি আছিয়া বেগমের কাছ থেকে ডেলিভারী কক্ষে নিয়ে গেছেন। ২০ মিনিট পরে একজন নার্স এসে আওয়ালকে বলেন, আপনার বাচ্চা মারা গেছে। স্ত্রীকে বাঁচাতে হলে সিলেট উসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান। একথা বলে, নার্সরা সবাই পালিয়ে যান। এসময় আওয়াল স্ত্রীর অবস্থার অবনতি দেখে চিৎকার করলে সুয়েব নামের এক লোক আওয়ালকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন এবং বলেন, এখানে চিৎকার করার জায়গা নয়, বাহিরে গিয়ে চিৎকার কর। তখন আওয়াল স্ত্রীকে বাঁচাতে প্রথমে শহরের নূরজাহান প্রাইভেট হাসপাতলে নিয়ে যান। নূরজাহান কর্তৃপক্ষের ধারা এটা সম্ভব না হলে পরে পুরাতন হাসপাতল রোডস্থ আল-হামরা প্রাইভেট হাসপাতালে সুমনাকে নিয়ে আসেন। পরে বিকাল ৫টায় ডাঃ হাদী হোসেন অপারেশন করে মৃত্যু মেয়ে বাচ্চা বের করেন।
এবিষয়ে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ পার্থ সারথি দত্ত কানুনগো বলেন, ৩জন গাইনী বিশেষজ্ঞ অনেক চেষ্টা করেও ডেলিবারী করতে পারেননি। পরবর্তীতে ওই রোগীকে সিলেট উসমানী হাসপাতালে রেফার করা হয়। টেনে হিঁচড়ে মারার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
Post Views:
0