স্টাফ রিপোর্টারঃ কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে মৌলভীবাজারের কুশিয়ারা নদীর ৩টি স্থানে গ্রামীণ রাস্তা ও ধলাই নদীর ৩টি স্থানে বাঁধ ভেঁঙ্গে মৌলভীবাজার সদর, কুলাউড়া, রাজনগর ও কমলগঞ্জ উপজেলার ৪৬ হাজার ৯০ জন লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তলিয়ে গেছে ৭০টিরও বেশি গ্রাম। পানি ডুকেছে ২৫টি প্রাইমারী ও ১৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। সোমবার বিকালে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মনু নদীর চাঁদনীঘাট এলাকায় ৮৫, কুলাউড়ার মনু রেলওয়ে ব্রীজে ৩১, কমলগঞ্জ এলাকার ধলাই নদীতে ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে সদর উপজেলার শেরপুর এলাকায় প্লাবিত হয়েছে ৩টি গ্রামীণ রাস্তা ভেঁঙ্গে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বন্যার্তদের মাঝে ৪ উপজেলায় ২৬৩ মেট্টিক টন চাল, ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও নগদ আড়াই লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তবে অপ্রতুল্য ত্রাণে কিছুই হচ্ছেনা দুর্ভোগগ্রস্থ মানুষের। এদিকে রাজনগর উপজেলার ফতেহপুর, উত্তরভাগ ও কামারচাক ইউনিয়নে কুশিয়ারা ও ধলাই নদীর পানিয়ে আকস্মিক বন্যায় কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করতে উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী জানান, “আশাবাদী সোমবার রাতের মধ্যেই পানি কমতে শুরু করবে”।