স্টাফ রিপোর্টারঃ কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে মৌলভীবাজার সদর, রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত মনু নদী ও কমলগঞ্জের ধলাই নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রোববার বিকেল ৫টার দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, মনু নদীর পানি মৌলভীবাজার চাঁদনীঘাট এলাকায় বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধলাই নদীর পানি বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার রাতে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের হামরকোণা জামে মসজিদের পাশে, দাউদপুর সড়কে মধ্যস্থল, ব্রাহ্মণগ্রাম এলাকায় কুশিয়ারা নদীর বাধ ভেঁঙ্গে ২ হাজার লোক পানি বন্ধি হয়ে পড়েছেন। খলিলপুর ইউপি চেয়ারম্যান অরবিন্দ পোদ্দার বাচ্চু বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় বালু ভর্তি বস্তা ফেলে পানি বন্ধ রাখা যায়নি। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে পরিষদের পক্ষ থেকে শোকনা খাবার বিতরন করা হয়েছে।
এদিকে রাজনগর উপজেলার ফতেহপুর, উত্তরভাগ ও কামারচাক ইউনিয়নে কুশিয়ারা ও ধলাই নদীর পানিয়ে আকস্মিক বন্যায় ২৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ১হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌসী আক্তার জানান, রাজনগর উপজেলার ফতেহপুর, উত্তরভাগ ও কামারচাক ইউনিয়নের ২৩টি গ্রাম কুশিয়ারা ও ধলাই নদীর পানিয়ে প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ১হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়েছে। এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে কথা বলেছি এবং দুর্গত এলাকা পরিদর্শণ করেছি। অবস্থার অবনতি হলে তা মোকাবেলার জন্য যথাযত প্রস্তুতি রয়েছে। দুর্গতদের স্বার্থে সব ব্যবস্থা করা হবে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী জানান, বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় পানি আরো বাড়বে। বন্যা মোকাবিলায় আমরা তৎপর।
Post Views:
0