স্টাফ রিপোর্টার:
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় বিদ্যুৎসংক্রান্ত যেকোনো অভিযোগ দিতে যেতে হতো মৌলভীবাজারে। জনবল সংকটের কারণে প্রত্যন্ত অঞ্চলে দ্রুত সেবা দেয়া যেতো না। এতে সাধারণ গ্রাহকদের সময় ও অর্থের অপচয় হতো। এছাড়া এই অফিসে মালামাল আনা-নেয়ার জন্য কোনো গাড়ির ব্যবস্থাও নেই। এসব সমস্যার সমাধানে রাজনগরে একটি জোনাল অফিসের প্রয়োজন ছিল। রাজনগরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবীর প্রেক্ষিতে সাব-জোনাল অফিসটিকে জোনাল অফিসে রূপান্তর করা হচ্ছে।
জানা যায়, গত ২০ জুন জোনাল অফিস করার দাবী জানিয়ে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য মো. শহীদ বকস্ প্রধানমন্ত্রী বরাবরে আবেদন করেন। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ পল্লীবিদ্যুতায়ন বোর্ডকে নির্দেশনা দেয়া হয়। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান অনুমোদন দেয়ার পর গত ১১ জুলাই উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মো. আনোয়ার হোসেন আকন্দ স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে রাজনগর সাব-জোনাল অফিসকে জোনাল অফিসে রূপান্তরের লক্ষ্যে ২৭.১২.০০০০.১৬৭.৫৪২.০৯.১৯.৭৫ স্মারকমূলে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএমকে জানানো হয়েছে।
মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানাযায়, ৩৫ হাজার গ্রাহক হলে সাব-জোনাল অফিসকে জোনাল অফিসে রূপান্তর করা হয়। ২০১৫ সালের শেষের দিকে রাজনগর সাব-জোনাল অফিসের গ্রাহক সংখ্যা ৩৫ হাজার অতিক্রম করে। বর্তমানে এই সংখ্যা ৪৭ হাজারের বেশি। গত ৩ বছরেও অনুমোদন না পাওয়ায় জোনাল অফিসে রূপান্তরের কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছিল না।
আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য মো. শহীদ বকস্ বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের জনবল, গাড়ি ও অবকাঠামো সংকটের কারণে রাজনগরের গ্রহকরা সুবিধা বঞ্চিত ছিলেন। জোনাল অফিসে রূপান্তরের সকল শর্ত পূরণ করা হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তাই সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে আবেদন করেছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করায় রাজনগরবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম শিবুলাল বসু বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে নির্দেশনা পাওয়ার পর কার্যকর ব্যবস্থা নিতে আমাকে জানানো হয়েছে। এতে রাজনগরের গ্রাহকরা সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
Post Views:
0