স্টাফ রিপোর্টার:
পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে মৌলভীবাজার শহরের বেরিরচর এলাকার বাসিন্দা নিহত মাদক স¤্রাট মুজিবুর রহমান জিতু ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। এ নিয়ে শহরের সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া ও কানাঘুষা লক্ষ করা যাচ্ছে। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতিবাচক মন্তব্য করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্রলীগ নেতা জানান, জিতু নিজেকে ছাত্রলীগের অন্যতম নেতা পরিচয় দিয়ে চলতো। মৌলভীবাজারের অসংখ্য তরুণকে মাদকের দিকে টেনে নিয়েছে জিতু। অসংখ্য যুবক সন্ত্রাসের পথে হাটছিলেন জিতুর হাত ধরে। জিতু খুবই হিংস প্রকৃতির লোক। সে নিহত হওয়ায় মৌলভীবাজারের জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
এদিকে জিতুর মৃত্যুর সংবাদ শুনে স্থানীয়রা একে অপরকে মিষ্টি আপ্যায়ন করে আনন্দ প্রকাশ করছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে জিতুর ব্যবহৃত ইংরেজীতে লেখা আহমেদ জিতু ফেইসবুক একাউন্ট গেলে দেখা যায়, ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ, গত বছরের ২২ ডিসেম্বর পৌর শহরের ৫ নং ওয়ার্ডে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকার প্রচারণায়, মহান বিজয় দিবস সহ বিভিন্ন দিবসে ছাত্রলীগের ব্যানারে তার নেতৃত্বে কর্মসূচী পালিত হয়। ব্যানারে জেলা ছাত্রলীগের নামও ব্যবহার করতে দেখা যায়। কিন্তু জেলা ছাত্রলীগের কোন পদ-পদবীতে সে না থেকেও জেলা ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করায় জেলা নেতৃবৃন্দ কোন প্রতিবাদ করেননি (!)
এবিষয়ে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত জিতু ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত ছিল কিনা এর সত্যতা জানতে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আমিরুল ইসলাম চৌধুরী আমিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সে ছাত্রলীগকে পছন্দ করত। তবে জেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে ছিল না।
উল্লেখ্য, জিতুর বিরোদ্ধে ১২টি মাদকের মামলা সহ ১৮ থেকে ২০টি মামলা রয়েছে। সে মৌলভীবাজার শহরের অন্যতম শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলার রায়শ্রী এলাকায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়দারী মুজিবুর রহমান জিতু।