শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজার জেলা যুগলীগের সদ্য ঘোষিত কমিটিতে স্থান পাওয়া ওমর ফারুক নোমানকে নিয়ে জেলা জুড়ে তোলপাড় চলছে। অভিযোগ উঠেছে যুবলীগের কমিটিতে নাম আসার পূর্বে শ্রীমঙ্গল উপজেলা ছাত্রদলের কমিটিতে তার নাম ছিল। এ ঘটনায় উপজেলার ত্যাগি আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা যায়, গত বছরের ২০ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারন সম্পাদক মো: হারুনুর রশীদ চৌধুরী’র স্বাক্ষরিত দলীয় প্যাডে জেলা যুবলীগের কমিটি অনুমোদন করা হলেও কিছু দিন পূর্বে এ কমিটি প্রকাশ করেন মৌলভীবাজার জেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দ। এ কমিটিতে ছাত্রদলের সাবেক এই নেতাকে অন্তর্ভুক্ত দেখে শ্রীমঙ্গলে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও তৃণমূলের ত্যাগি নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাবেক ওই ছাত্রদল নেতা ওমর ফারুক নোমান ২০০৪-০৫ এবং ২০০৬-১২ সালে জেলা ছাত্রদলের তৎকালিন সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান ও সাধারন সম্পাদক সৈয়দ সাকেরুজ্জামান স্বাক্ষরিত দলীয় প্যাডে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উভয় কমিটিতে শ্রীমঙ্গল পৌর শাখার ৫১ ও ৪২ নং সদস্য হিসেবে অন্তুর্ভুক্ত ছিলেন।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছালিক আহমেদ বলেন, “২৭ বছরের রাজনীতি জীবনে ওমর ফারুক নোমানকে আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত দেখিনি। সে কিভাবে জেলা যুবলীগের কমিটিতে অন্তুর্ভুক্ত হল আমার বুঝে আসছে না। বিষয়টি নিয়ে জেলা নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেকটা অভিমান করে বিষয়টি নিয়ে আমি কথা বলতে চাইনি।
জেলা যুবলীগের সভাপতি নাহিদ আহমদ দেশের বাহিরে থাকায় সিনিয়র সহ-সভাপতি বিকাশ ভৌমিক বলেন, কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যানের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ পূর্ণাঙ্গ কমিটি করেন। যার ফলে কমিটিতে স্থান পাওয়া সকল নেতাকর্মী সম্পর্কে আমার ধারণা নেই। ওমর ফারুক নোমান ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল কিনা বিষয়টি আগামী কার্যকরি কমিটির সভায় আলোচনা করা হবে।
ওমর ফারুক নোমান ছাত্রদলের সাথে সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, কতিপয় লোক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ তুলেছে। আমি মুক্তিযোদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে শুরু থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম এবং আছি।