ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মৌলভীবাজারে আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের কাছ থেকে উৎকোচ নিয়ে দায়িত্ব (ডিউটি) দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উৎকোচ দিতে ব্যর্থদের নাম নানা অভিযোগ দেখিয়ে কেটে দিচ্ছেন উপজেলা টিআই। এর মূলে রয়েছেন উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা। একটি বিশ্বস্থ সূত্র জানায়, উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে মৌলভীবাজার জেলা থেকে উৎকোচ হিসেবে কয়েক লক্ষ টাকা আদায় করা হচ্ছে।
জেলার ৭টি উপজেলায় ৫১৯টি নির্বাচনী কেন্দ্র রয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন পিসি, একজন এপিসি, ছয়জন পুরুষ, চারজন নারীসহ ১২ জন আনসার-ভিডিপি সদস্য দায়িত্বে থাকবেন। সে হিসাবে জেলায় মোট আনসার ও ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন ৬ হাজার ২’শ ২৮ জন।
সূত্র জানায়, রাজনগর উপজেলায় ৬৪টি ভোট কেন্দ্রের বিপরীতে ৭’শ ৬৪ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করার কথা রয়েছে। উপজেলা পাঁচগাও ইউনিয়নের বাহাদুরগঞ্জ গ্রামের ১২ জনের (গোপনীয়তার স্বার্থে নাম প্রকাশ করা হয়নি) কাছ থেকে দল নেতা দিলু’র মাধ্যমে টিআই সামছুন নাহার জনপ্রতি ৬০০/৮০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করেছেন। টাকা না দিলে নানা অভিযোগ দেখিয়ে তাদের নাম বাদ দেয়ার হুমকি দেন তিনি। একাজে সামছুন নাহারকে সহযোগীতা করছেন রাজনগর উপজেলা আনসার কর্মকতা রাকিব। এদিকে টাকা আদায়ের অভিযোগ এনে জেলার বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরও আনসার সদস্যরা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করছেন।
রাজনগর উপজেলার ঘরগাঁও এলাকার আব্দুল হান্নান নামের এক আনসার সদস্যদের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, “উপজেলা অফিসে আমার বাতিজা থাকায় আমার কোনো টাকা লাগেনি। তবে তারা যার কাছ থেকে যত পারে নিচ্ছে। যাতে অফিসে কোনো সমস্যা না হয়”। একই উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নের দিলু নামের এক দলনেতাও উৎকোচ দেয়ার কথা স্বীকার করেন। পরিচয় গোপন রেখে জুড়ি উপজেলার ফারুক আহমদ নামের এক দলনেতার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, উপজেলা টিআইকে উৎকোচ দিয়েছি তবে আমার কাছ থেকে খুব বেশি নিতে পারেননি।
রাজনগর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সামছুন নাহার বলেন, “৫ বছর ধরে এখানে কাজ করছি, এরকম কোনো দিনই করিনি”।
মৌলভীবাজার জেলা আনসার ও ভিডিপি কমান্ড্যান্ট মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, “মৌলভীবাজারে এধরনের টাকা আদায় করার প্রশ্নই উঠেনা। যারা এধরনের কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।