স্টাফ রিপোর্টার:
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরুপ লীলাভূমি মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার হাইল হাওরের বাইক্কা বিল। শীত মৌসুমে বাইক্কা বিলে পর্যটক আসেন অতিথি পাখি দেখতে। এসময় বাইক্কা বিলে পর্যটকের ঢল নামে। কিন্তু বাইক্কা বিলে পর্যটকদের যেতে অনেক দূর্ভোগ পোহাতে হয়। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকার ফলে অনেক পর্যটক বাইক্কা বিল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। এভাবে যেতে থাকলে একসময় পর্যটক হারাতে পারে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরুপ লীলাভূমি বাইক্কা বিল।
জেলা সদর থেকে বাইক্কা বিল যেতে লোকাল কোন গাড়ি নেই। সেখানে পর্যটকদের যেতে হলে ভাড়া করা গাড়িতে যেতে হয়। তবে ঘাটের বাজার পর্যন্ত সড়ক ভালো থাকলেও বাইক্কা বিল যেতে বাকী পথ একিবারে ভালো নয়। অনেক জায়গায় সড়কে পিচ উঠে গিয়ে তৈরী হয়েছে বড় বড় গর্তের। এবং সড়কের কিছু অংশ রয়েছে কাঁচা। ফলে গাড়িগুলো অনেক সাবধানে চালাতে হয় চালকদের।
বাইক্কা বিলে আসা পর্যটক মুস্তাকিম আহমদের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বিলে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি দেখে আমি মুগ্ধ। বিলের ধারের সবুজ বাগান প্রকৃতি প্রেমীদের আনন্দ দেয়। তবে বিলে আসতে অনেক দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বিশেষ করে সড়কের অবস্থা একিবারে ভালো নয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি যোগাযোগ ব্যবস্থার দিকে লক্ষ না দেয় তবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এই লীলাভূমিটি অনেক পর্যটক হারাবে। এবং সরকার অনেক টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে।
একই কথা বলেন, বাইক্কা বিলে আসা কামরুল ইসলাম, হাসান আহমদ, ওমর ফারুক সহ আরো কয়েকজন।
সংশ্লিষ্টদের তথ্যানুযায়ী বাইক্কা বিলে প্রায় ৮২ প্রজাতির মাছ ও ১৮৭ প্রজাতির পাখির অভয়াশ্রম। হাইল হাওরের প্রায় ১শত হেক্টর আয়তনের এই জলাভূমি। ২০০৩ সালে বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় এই বিল মাছের অভয়াশ্রম হিসেবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়। আইড়, মেনি, কই, ফলি, পাবদা, বোয়াল, রুই, গজারসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আছে এখানে। শুধু মাছই নয়, নানান রকম দেশি আর পরিযায়ী পাখিরও অভয়াশ্রম এই বিল।
বাইক্কা বিলের ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত থাকা সমাজ ভিত্তিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংগঠন বড়গাঙ্গিনার সাধারণ সম্পাদক মিন্নত আলী জানালেন এই প্রাকৃতিক সুন্দর্য ধরে রাখতে আমাদের প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে সকলের সহযোগীতা ও সচেতনতার প্রয়োজন। তিনি হাওরে মাছ বৃদ্ধির জন্য বেশি করে গভীর অভয়াশ্রম ও পাখির নিরাপদ নিবাসের জন্য বনায়নের গুরুত্বারোপ করেন তিনি।