কমলগঞ্জ প্রতিনিধি:
জমির মালিকানা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের রহিমপুর ইউনিয়নে রোববার (৯ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টায় কুপিয়ে এক ব্যক্তিকে গুরুতরভাবে আহত করা হয়েছিল। আহত ব্যক্তিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সন্ধ্যা রাত ৭টায় তার মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তি উত্তর বড়চেগ গ্রামের নজির মিয়ার ছেলে গিয়াস মিয়া (৩৫)।
জানা যায়, ২০ শতাংশ ধানি জমি নিয়ে উত্তর বড়চেগ গ্রামের মৃত হাজী রমিজ মিয়ার ছেলে জামাল মিয়া (৩৮) ও বাদশাহ মিয়া (৩৫)-র সাথে নিহত গিয়াস মিয়ার পরিবারের দীর্ঘ দিনের বিরোধ ছিল। এ নিয়ে রহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সামাজিক বিচারের পর বিরোধপূর্ণ জমি গিয়াস মিয়াদের উল্লেখ করে জমির সীমানায় খুঁটি স্থ্পান করা হয়েছিল। সম্প্রতি জামাল মিয়া দুবাই থেকে দেশে ফিরে সামাজিক বিচারের পর জমি সীমানায় স্থাপিত খুঁটি উপড়ে ফেলে। রোববার সন্ধ্যার আগে গিয়াস মিয়া নিজের ধানি জমি দেখতে গিয়ে সীমানা খুঁটি উপড়ে ফেলার প্রতিবাদ করলে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে জামাল মিয়া, তার ভাই বাদশাহ সহ সহযোগীরা দা দিয়ে কুপিয়ে গিয়াস মিয়াকে গুরুতরভাবে আহত করে। গ্রামবাসীর সহায়তায় গিয়াস মিয়াকে উদ্ধার করে স্বজনরা সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে সন্ধ্যা ৭টায় তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান, পরিদর্শক (তদন্ত) সুধীনচন্দ্র দাসসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন। পরে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে জ্ঞিাসাবাদের জন্য সাজ্জাদ মিয়া, সোহেল মিয়া ও সুজন মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে মূল হামলাকারী জামাল মিয়া ও বাদশাহ মিয়া পালিয়ে যায়।
কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাস হত্যাকান্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আরও বলেন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ জনকে আটক করা হয়। নিহতের পরিবার থেকে অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইন ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান।
নিহতের আত্মীয় মোস্তাক মিয়া জানান, হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে গিয়াসের এক ভাই বিদেশ থেকে এসেছেন। তিনি বাদী হয়ে রাতে থানায় মামলা করবেন।