কুলাউড়া প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে নৌকার প্রার্থী হিসাবে এমএম শাহীনকে পেয়ে উচ্ছসিত আওয়ামীলীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। বুধবার (৫ ডিসেম্বর) বিকালে কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় কেন্দ্র থেকে টেলিকনফারেন্সে মহাজোটের প্রার্থী হিসাবে এমএম শাহীনের নাম ঘোষনা করলে উপস্থিত শত শত নেতাকর্মী উচ্ছসিত হয়ে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন।
বর্ধিত সভায় বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনার সাথে যিনি বেঈমানী করে জনগনকে ধোকা দিতে চাচ্ছে তাদের মনবাসনা কুলাউড়া আওয়ামীলীগ পূরণ হতে দেবেনা। আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি, ঐক্যফ্রন্টের (গণফোরাম) নেতা সুলতান মো. মনসুর মুখে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা বলবেন আর শেখ হাসিনাকে মানবেননা, তা কুলাউড়াবাসী মেনে নেবেনা। শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে আতাঁত করে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন যারা, তাদের স্বপ্ন কোনদিনও বাস্তবায়িত হবেনা। ৩০ ডিসেম্বর কুলাউড়ায় নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করে সেইসব ষড়যন্ত্রকারীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে।
কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনু ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মোক্তাদির তোফায়েলের পরিচালনায় বর্ধিত কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বর্ষিয়ান আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুর রহমান। আমন্ত্রীত অতিথির বক্তব্য দেন মহাজোটের প্রার্থী এমএম শাহীন। এমএম শাহীন তাঁর বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতিক দিয়ে যে মূল্যায়ন করেছেন ৩০ ডিসেম্বর নৌকাকে বিজয়ী করার মাধ্যমে কুলাউড়াবাসী আসনটি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ¦ মো. মিসবাহুর রহমান, সিলেট বিএমএর সভাপতি অধ্যাপক ডা. রুকন উদ্দিন, সিলেট মহানগর আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আসম কামরুল ইসলাম, বরমচাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আহবাব চৌধুরী, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গৌরা দে, সাংবাদিক কামাল হাসান, ও যুবলীগ সভাপতি আব্দুস শহিদ প্রমুখ।
পরিশেষে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে কোন নেতাকর্মী যাতে অন্যকোন প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করে সেজন্য কুলাউড়ায়ও একটি মনিটরিং সেল গঠন করে দলের সাথে যারা বেঈমানী করবে তাদের তালিকা তৈরি করে চিরতরে দল থেকে তাদের মুছে ফেলার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।