স্টাফ রিপোর্টার:
চায়ের রাজধানী খ্যাত পর্যটন নগরী মৌলভীবাজার জেলার ৪টি সংসদীয় আসনের মধ্যে মৌলভীবাজার-৩ আসনটি রাজনীতিক দল, নেতাকর্মী, ভোটার ও সাধারণ মানুষের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই আসনের দিকে চেয়ে আছেন পুরো জেলার ভোটাররা। এই আসন থেকে নৌকা অথবা ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে উভয় দলের শীর্ষ নেতাকর্মীরা মরিয়া। অতীতে এ আসন থেকে বিএনপি নেতা ও সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আ’লীগের বর্ষীয়ান রাজনীতিবীদ মো. আজিজুর রহমান একাধিকবার নির্বাচিত হয়েছিলেন। সর্বশেষ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হন।
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে এই আসন নিয়ে ইতো মধ্যে আওয়ামীলীগের দলীয় রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে শুরু হয়েছে জোর লবিং। ভোটাররাও মনোনয়ন প্রত্যাশিদের ভালো-মন্দের হিসাব-নিকাশ মিলাচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। বিভিন্ন দিবসে মনোনয়ন প্রত্যাশিদের ছবি দিয়ে রাস্তায় ফেষ্টুন, ব্যানার ও সাইন বোর্ড লাগিয়েছেন। আবার কেউ কেউ বিতরণ করছেন লিফলেট। অনেকেই আবার গ্রামগঞ্জে উঠান বৈঠক শুরু করেছেন।
একাধিক ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আওয়ামীলীগের নৌকা মার্কার মনোনয়ন প্রত্যাশি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি আবদুল মালিক তরফদার সুয়েব এগিয়ে আছেন। তৃণমূলের একাধিক নেতাকর্মী ও ভোটারদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ও মিশন বাস্তবায়ন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে সৎ, দক্ষ, দেশপ্রেমিক ও সততা সম্পূর্ণ একজন মুজিব সৈনিক প্রয়োজন। যিনি নিজের জীবন দিয়েও বাংলাদেশ ও আওয়ামীলীগের উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আবদুল মালিক তরফদার সুয়েব ছাত্রজীবন থেকেই সমাজসেবায় নিয়োজিত ছিলেন। সাধারণ মানুষের কল্যাণে অতিতের ন্যায় এখনও কাজ করে যাচ্ছেন। গেল বন্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তিনি মৌলভীবাজারের বিভিন্ন এলাকায় অসহায় মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণসহ নানা সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন। তিনি শুধু দেশেই নয়, প্রবাসেও বঙ্গবন্ধুর একজন সৈনিক হিসেবে কাজ করেছেন। ভিপি সুয়েব ১৯৯০ সালে যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও নিউইয়র্ক সিটি আ’লীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে ২০০০ সালে যুক্তরাজ্য সাউদাম্পটন আ’লীগের সভাপতি ছিলেন। এছাড়া ১৯৮৪-৮৬ সালে মৌলভীবাজার কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ১৯৮৬ সালে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচিত ভিপি, ১৯৮৬-৮৮ পর্যন্ত জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তার মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত হাবিবুন্নেছা ট্রাস্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং কেন্দ্রয়ী আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য উপ-কমিটির সদস্যের দায়িত্বে আছেন।
তার মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত এই সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে তিনি এই শহরের অবহেলিত, বঞ্চিত, নিপীড়িত, দরিদ্র ও এতিম শিশুদের সহযোগীতা করে আসছেন।
প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, আগামীতে মৌলভীাবাজার-৩ আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়ে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চান। ছেলে-মেয়ে, স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের প্রবাসে রেখে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে তিনি দীর্ঘ দিন যাবত দেশে অবস্থান করছেন এবং আগামীতেও দেশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের হাতকে শক্তিশালী করতে তিনি আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
ভিপি সুয়েব এর সাথে একান্ত আলাপকালে তিনি আরোও বলেন, আল্লাহর শুকুর আদায় করছি তিনি আমাকে অনেক সম্পদ দান করেছেন। এখন আর সম্পদের প্রয়োজন নয়। জীবনের বাকী সময় টুকু এলাকার অবহেলিত ও বঞ্চিত মানুষে সেবা করে যেতে চাই। আওয়ামীলীগকে তৃণমূল পর্যায়ে শক্তিশালী করতে আমার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।