কুলাউড়া প্রতিনিধি:
জাতীয় পার্টির সম্ভ্যাব্য এমপি প্রার্থী হিসাবে কুলাউড়ায় গণসংযোগ করছেন রেজাউল হায়দার রাজু। তিনি বর্তমানে যুক্তরাজ্য জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। জাতীয় পার্টির অন্যান্য ৩ প্রার্থীর মধ্যে তাঁর অতীতের জাতীয় পার্টির দলীয় অবস্থান প্রবাসে অত্যন্ত সুসংত থাকায় তাকে উপজেলা জাতীয় পার্টি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বরন করে নিয়েছেন খুবই সহজে। গত কয়েকদিন থেকে কুলাউড়া উপজেলা জাপার নেতৃবৃন্দ তাকে নিয়ে কয়েকটি সভা করেছেন এবং আগামী ১৭ অক্টোবর সংবর্ধনাও দিচ্ছেন বলে দলীয় সুত্রে জানা গেছে। রেজাউল হায়দার রাজু জাতীয় পার্টির প্রতিষ্টালগ্ন থেকে অর্থাৎ ১৯৮৬ সাল থেকে জাপার সাথে যুক্ত হন। বেলজিয়াম জাতীয় পার্টির ১৯৯১ সাল থেকে ৯৮ সাল পর্যন্ত সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন শেষে পরবর্তীতে লন্ডনে বসবাস শুরু করলে প্রথমে মহানগর জাপার সাংগঠনিক সম্পাদক, পরবর্তীতে যুগ্ন সম্পাদক, বর্তমানে যুক্তরাজ্য জাতীয়পার্টির সাধারন সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়ার লন্ডনের সমাজসেবামূলক বৃহৎ সংগঠন কুলাউড়া ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এর প্রতিষ্টাতা সাধারন সম্পাদক এবং বর্তমানে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। জাতীয়পার্টি এবং কুলাউড়া ওয়েলফেয়ার এবং ব্যাক্তিগত উদ্যোগে কুলাউড়ায় চক্ষুশিবির, মসজিদ, স্কুল, মাদ্রাসা, মন্দির, ক্লাবে অনুদান প্রদানসহ নানা ভাবে মানুষের কল্যানে কাজ করছেন তিনি।
রেজাউল হায়দার রাজু বলেন, এক সময় কুলাউড়া আসনটি জাতীয় পার্টির দূর্গ ছিল। ৩ বার লাঙ্গল প্রতীকের এমপি হয়েছেন এ আসন থেকে। কিন্তু ৩ বার যিনি লাঙ্গল থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন সেই আলী আব্বাস একবার গেলেন বিএনপিতে এখন আছেন কাজী জাফরের জাপা অর্থাৎ ২০ দলীয় জোটের সাথে। রাজু মনে করেন, কুলাউড়ায় জাপার গত নির্বাচন করেছেন শ্রীমঙ্গল থেকে পিন্টু নামের একজন। গত নির্বাচনেও আমাকে দলীয় নেতাকর্মী এমপি প্রার্থী হওয়ার জন্য চাপ দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রার্থী হইনি। এবছর কেন্দ্রের গ্রীন সিগন্যাল পেয়ে এবং জাপা আসনটি পুণরুদ্বার এবং জাতীয় পার্টিকে চাঙ্গা করতেই মাঠে কাজ করছেন। তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস কুলাউড়া আসনটি আমি পল্লীবন্ধু এরশাদকে উপহার দিতে পারব।