ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজারে বন্যায় পানি বন্দী মানুষের মাঝে দিন দিন বাড়ছে দূর্ভোগ। ত্রাণ, বিশুদ্ধ পানি ও গো খাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার অবনতি হয়েছে। এদিকে জেলার নদী গুলোতে পানি কমতে শুরু করলেও কমেনি হাওরের পানি।
সরেজমিন জেলার বিভিন্ন উপজেলার পানি বন্দি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পানি বন্দী মানুষরা কেউ কেউ আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন সরকারি আশ্রয়ন কেন্দ্রে। আবার কেউ চলে গেছেন আত্মীয়ের বাড়িতে কিংবা রাস্তার পাশে তাবু বানিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। বিশেষ করে রাস্তার পাশে ও আশ্রয়ন কেন্দ্রে আশ্রয়ন নেয়া মানুষের মধ্যে দেখা দিচ্ছে ত্রাণ ও বিশুদ্ধ পানি এবং গৃহ পালিত গবাদি পশুর মধ্যে গো খাদ্যের চরম সংকট। এনিয়ে বন্যার্তরা বিপাকে পড়েছেন। গবাদিপশু কোথায় নিয়ে যাবেন সঠিক নির্দেশনা পাচ্ছেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার হাকালুকি, কাউয়াদীঘি ও হাইল হাওরে দ্রুত গতিতে পানি বাড়ছে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার ৭টি উপজেলার ৪১টি ইউনিয়নের ৫২ হাজার ১শত ১১টি পরিবার এবং ২ লক্ষ ৪৬ হাজার ৩’শ ৩৭ জন মানুষ পানি বন্দি। ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি সংখ্যা ১৩ হাজার ২’শ ৫৯টি ও ফসলের মাঠ ৪ হাজার ৭ শত হেক্টর।
জেলার কুলাউড়া উপজেলার ভুকশিমইল ইউনিয়নে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই ইউনিয়নের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষের বাড়িতে পানি উঠেছে। মানুষ সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে উঠলেও গবাদিপশু নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। গরু রাখার মতো কোনো জায়গা খোঁজে পাচ্ছেন না। গো খাদ্যেরও চরম সংকট দেখা দিয়েছে। যার ফলে বেশি ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন মৌসুমি খামারীরা। ইউপি সদস্য সাহেদ আহমদ বলেন, জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগস্ত আমাদের ভুকশিমইল ইউনিয়ন। কিন্তু এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত ত্রাণ আসেনি। এদিকে আমার ২নং ওয়ার্ডের ১ জনই সরকারী কোনো ত্রাণ পাননি। এদিকে ভুকশিমইল ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ৯০ শতাংশ পরিবার এবং ৪০ হাজার মানুষ পানি বন্দি।
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান ত্রাণ সামগ্রী অপ্রতুল্যের কথা অস্বীকার করে বলেন, বন্যা মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।