ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
ভারত থেকে নেমে আশা পাহাড়ি ঢলে উত্তাল হয়ে উঠেছে মৌলভীবাজারের মনু, ধলাই ও কুশিয়ারা নদী। আতষ্ক দিন কাটছে নদী তীরের বাসিন্দা ও জেলাবাসীর। শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে পানি বাড়ছিল। তবে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত বিপদসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, মনুনদীর রেলওয়ে ব্রীজে বিপদসীমার ২ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার ও চাঁদনীঘাট ব্রীজে ১ দশমিক ৬৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে খড় স্রোতা মনু নদীর ভাঙন রোধে এবং বন্যার স্থায়ী সমাধানে ২০২০ সালের জুন মাসে একনেকে হাজার কোটি টাকার “মনু নদের ভাঙন থেকে কুলাউড়া, রাজনগর ও মৌলভীবাজার সদর রক্ষা” প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। মৌলভীবাজার জেলাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবির প্রেক্ষিতে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিয়ম অনুযায়ী কাজ না করে সরকারের এই মেগা প্রকল্পের অর্থ নয়ছয়ে ব্যস্ত। পানি উন্নয়ন বোর্ডের যোগসাজেসে এমনটি হচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। তিন বছর মেয়াদী প্রকল্পের ২ বছর পার হলেও চোখে পড়েনি দৃশ্যমান অগ্রগতি। কাজের এই ধীর গতিতের কারণেই পাহাড়ী ঢল নেমে আসলে স্থানীয়দের বড় ধরনের ক্ষতি হবে। ফলে সরকারের এই মহতি উদ্যোগ বেস্তে যাবে।
জানা যায়, গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ এবং ভারতে বৃষ্টিপাতের কারণে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে মনু ও ধলাই নদীতে দ্রুত পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিগত বছরের মতো বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশের আশঙ্কা রয়েছে। এতে মনু পাড়ের মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড মননদীর ৩টি স্থানকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে ঘোষণা করেছে। তবে জেলার নদী তীরবর্তী বাসিন্দার বলছেন কুলাউড়া, রাজনগর ও সদর উপজেলার একাধিক স্থান ঝুকিপূর্ণ রয়েছে। বিগত দিনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জরুরি মেরামত কাজগুলো গুণগত মানের না হওয়ায় ফের একই স্থানে ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে।
এবিষয়ে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আক্তারুজ্জামান বলেন, এখন পর্যন্ত বিপদসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আমাদের লোক মাঠে কাজ করছে।