ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজারে জেলা আওয়ামীলীগ নেতাকে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। নিয়োগ দেয়া হয়েছে এক বাম নেতাকে। এনিয়ে জেলা আওয়ামীলীগ ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবি পরিষদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
মৌলভীবাজার জজ কোর্টে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে দীর্ঘ দিন যাবত দায়িত্ব পালন করছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আজাদুর রহমান। কিন্তু হঠাৎ ৩০ সেপ্টেম্বর ওই আওয়ামীলীগ নেতাকে বাদ দিয়ে বাম ঘরনার নেতা এডভোকেট মিজানুর রহমান টিপু’কে পিপি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। খবর প্রকাশের পর জেলা জোড়ে প্রতিবাদের ঝড় বইছে।
শনিবার দুপুরে কোর্ট এলাকায় বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবি পরিষদ তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সভা করে। জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল খালিকের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট রাদাপদ দেব সজল সহ অনেকেই। তারা বলেন, সম্পন্ন অন্যায়ভাবে একটি মহল গোপনে এ কাজ করেছে। অনতিবিলম্বে এটা বাতিল করা না হলে কঠোর আন্দোলন হবে।
মৌলভীবাজার জেলা বারের সিনিয়র সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট রাদাপদ দেব সজল বলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন, এটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ কেউই এবিষয়টি জানেন না। কিভাবে এটা হলো আমরা বুঝে উঠতে পারছি না।
জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল খালিক বলেন, আওয়ামীলীগের সাথে অবিচার কর হয়েছে।
অব্যাহতি প্রাপ্ত পিপি এ কে এম আজাদুর রহমান বলেন, মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহিদ পরিকল্পিতভাবে আমাকে বাদ দিয়ে বাম রাজনীতিবীদকে নিয়োগের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। নিয়োগ প্রাপ্ত পিপি সর্বদা সরকার বিরোধী কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত।