ষ্টাফ রিপোর্টারঃ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আমতৈল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিমাংশু শেখর বাচ্চু’র হাতে দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা চাউরের পর থেকে স্থানীয় ও বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা ফুসে উঠেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেকে। সঠিক বিচার না পেলে আত্মহত্যার কথা বলছে ওই শিক্ষার্থী। এদিকে একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, বড় অংকের টাকার বিনিময়ে বিষয়টি দামাচাপা দিতে একটি চক্র গোপনে কাজ করছে।
হয়রানির স্বীকার শিক্ষার্থীর ভাই, বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, ২ বছর ধরে ওই মেয়েকে অসামাজিক কাজের কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছেন প্রধান শিক্ষক। দরিদ্র এই মেয়ের পরিবারকে বাড়ি করে দেয়া, নগদ ১০ লক্ষ টাকা দেয়া ও ১ লক্ষ টাকা দামের মোবাইল ফোন কিনে দেয়ার লোভ দেখান প্রধান শিক্ষক হিমাংশু শেখর বাচ্চু। সম্প্রতি ইউনিক আইডি’র কাগজপত্র জমা দিতে মেয়েটি বিদ্যালয়ে আসলে প্রধান শিক্ষক হিমাংশু শেখর বাচ্চু মেয়েটির দেহের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেন। তাৎক্ষণিকভাবে মেয়েটি বিদ্যালয় থেকে বের হয়ে আমতৈল পয়েন্টে এসে ব্যবসায়ী ও এলাকার লোকদের বিষয়টি বলেন এবং বিচার চান।
বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ী রুহেল বলেন, প্রায় ২ বছর যাবত প্রধান শিক্ষক মেয়েটিকে হয়রানি করছেন। ৪০/৪৫ দিন আগে মেয়েটি রেজিষ্ট্রেশনের কাগজপত্র জমা দিতে বিদ্যালয়ে আসলে প্রধান শিক্ষক মেয়েটির গায়ে হাত দেন। তখন মেয়েটির চিৎকার শোনে আমরা কয়েকজন বিদ্যালয়ে গেলে প্রধান শিক্ষক আগামীতে এধরনের কাজ করবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন। কিন্তু তিনি কথা রাখেননি। আমরা ওই শিক্ষকের অপসারণ চাই।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মেয়ের ভাই বলেন, বিষয়টি নিয়ে আজ (শনিবার) উপজেলায় বৈঠকে বসার কথা। সমাধান হওয়ার পর আপনাদের জানাব।
জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ ফজলুর রহমান বলেন, ফেইসবুকে এ সংবাদ শুনে সাথে সাথে উপজেলা মাধ্যমিক অফিসারকে বলেছি বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিতে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত আমতৈল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রধান শিক্ষক হিমাংশু শেখর বাচ্চু কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য না করে সংযোগ কেটে দেন।
মৌলভীবাজারে প্রধান শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ





















