ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
বিকাশে প্রতারণা চক্রের সক্রিয় ৩ সদস্যকে আটক করেছে মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ। টানা ১৬ ঘন্টার অভিযান শেষে বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় পুলিশ তাদের আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন মডেলের ২৪টি মোবাইল ফোন ও নগদ ১ লক্ষ ৩০ হাজার ৭’শ ৩০ টাকা উদ্ধার করা হয়। আটককৃতরা হলেন, জেলার রাজনগর উপজেলার খাশ প্রেমনগর গ্রামের বুলবুল মিয়া, মোঃ মাসুম ও মৌলভীবাজার পৌর শহরের কোর্টরোডস্থ আনোয়ার ম্যানশনের দয়াল ষ্টোরের সত্ত্বাধিকারী হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার ইছাকোটা গ্রামের ফজলুল হক।
জানা যায়, ১১ মে শাহ ইব্রাহীম আলী নামের এক ব্যক্তি বিকাশে ৯০ হাজার টাকা প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন অভিযোগ এনে মৌলভীবাজার মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। ডায়েরীতে তিনি উল্লেখ করেন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি শাহ তাছলিম নামক ইমো নাম্বার থেকে ইব্রাহীমের ব্যবহৃত ইমো নাম্বারে ফোন করে তার বোনের কন্ঠ নকল করে তার নিকট টাকা চায়। ইব্রাহীম বোনের সমস্যার কথা শুনে তাড়াতাড়ি কয়েক দাফে ৯০ হাজার টাকা বিকাশে পাঠান। টাকা পাঠানোর পরপরই মোবাইল নম্বর বন্ধ করে প্রতারকরা। পরবর্তীতে ইব্রাহীম তার বোনের সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারেন সে তাদের কাছে টাকা চায়নি। তখন আবেদনকারী প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন বুঝতে পেরে মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি জিডি করেন। জিডির সূত্রধরে মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মৌলভীবাজার পৌর শহরের কোর্টরোডস্থ আনোয়ার ম্যানশনের দয়াল ষ্টোর হইতে বিকাশ দোকানদার ফজলুল হক’কে (৩২) প্রথমে আটক করে। ফজলুলকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তার সহযোগী বুলবুল মিয়া ও মোঃ মাসুম’কে (১৯) আটক করে পুলিশ।
অভিযান পরিচালনা করেন, মৌলভীবাজার মডেল থানার এসআই এনামুল হক, আজিজুর রহমান নাইম, মাহবুবুল আলম ও এএসআই মাহবুবুল আলম প্রমুখ।
মৌলভীবাজার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মর্তুজা বলেন, আসামীদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তথ্য উদঘাটনে জন্য ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।