ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজারের অধিকাংশ শহিদ মিনারে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন ছাড়া অন্য কোনো অনুষ্ঠান হয়নি। ২১ শে ফেব্রুয়ারী ব্যতীত পুরো বছরই অবহেলা ও অযতেœ পড়ে থাকে শহিদ মিনার। সেই সুবাধে অনেক শহিদ মিনার দখল করে কাঁচা বাজারের ব্যবসা, কেউ কেউ সিএনজি স্ট্যান্ড আবার কেউ কেউ পান দোকানও শরু করেছেন। অনেক যুবক যুবতীরা জুতা পায়ে দিয়ে শহিদ মিনারে বসে গল্প করে সময়ও পার করেন। এদিকে ২১ শে ফেব্রুয়ারীর ২/১ দিন আগে কেবলমাত্র নিয়ম রক্ষা করার জন্য ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা হয়।
জেলার সচেতন নাগরিকরা বলছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং প্রতিষ্ঠানের অবহেলার কারণে এমনটি হচ্ছে। শহিদ মিনারকে কেন্দ্র করে পুরো বছর নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করা যেত। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। নতুন প্রজন্ম শহিদ মিনারের মহত্ত্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মৌলভীবাজার শহিদ মিনারের মধ্যখানের লাল বৃত্ত দীর্ঘ দিন যাব এক দিকে হেলে পড়েছে। এটা মেরামতের উদ্যোগ নিচ্ছেন না কেউ। কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগরে শহীদ মিনার চত্বরে গড়ে উঠেছে সিএনজি অটোরিকশাস্ট্যান্ড। এলাকার লোকজন প্র¯্রাব করতে আসে এখন শহীদ মিনার চত্বরে। এতে সেখানে দুর্গন্ধে যাওয়া যায় না। শহীদ মিনারটি অপরিচ্ছন্ন হয়ে পড়ে রয়েছে। সেখানে সারি সারি রাখা অটোরিকশা আর তার ফাঁকফোকরে পড়ে রয়েছে মানুষের মূত্র। রাজনগর উপজেলায় শহিদ মিনারের সামনে বসানো হয়েছে কাঁচা বাজার। পুরো বছরই শহিদ মিনারের সামনে সবজি বিক্রি করা হয়। ময়লা ও আবর্জনায় ডেকে থাকে পুরো বছর। মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের শহিদ মিনারেও শুক্রবার পর্যন্ত ময়লা আবর্জনা দেখা যায়। এদিকে জুড়ি উপজেলা শহিদ মিনারের এক পাশে নদী খননের মাটি পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এছাড়াও জেলার অনেক কলেজ, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহিদ মিনানে ময়লার স্তুপ ও আবর্জনা দেখা যায়। দিবস এলেই এগুলো পরিষ্কার করা হয়।
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, কোনো অবস্থাতে শহিদ মিনারকে অবহেলায় পেলে রাখার সুযোগ নেই। পুরো বছর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা করা হবে।