ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে অদ্যবধি দেশ, স্বাধীনতা এবং সংবিধান বিরোধী সক্রিয় ছাত্র সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ তথা বিশ্ব ধরবারে পরিচিত ইসলামী ছাত্রশিবির। স্বাধীনতা বিরোধী ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির দলের সদস্য অন্তর্ভুক্তি করার সময় মেধাবী ছাত্রদের টার্গেট করে কৌশলে সদস্য বানায়। এরই ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্যে শিবির থেকে উৎপত্তি হয়েছে হিজবুত তাহরির, জামাত উল মুজাহিদ (জেএমপি) সহ নানা জঙ্গি সংগঠন। এই সব সংগঠনের জিহাদী কার্যকলাপ পরিচালনা করার জন্য বাছাই করা হয় মেধাবী ও বুদ্ধিমান শিক্ষার্থী ও যুবক ছেলেদের। যারা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলা ছাত্রশিবিরের নেতা মিছাবাউল হাসান একটি চক তৈরি করে ক্রমান্বয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তার সহযোগী হিসেবে রয়েছে নিজাম উদ্দিন। শিবির নেতা মিছবাহুল হাসানের নির্দেশে নিজাম ও তার সহযোগীরা বিভিন্ন সময় কলেজের কোমলমতি মেধাবী ছাত্রদের প্রথমে নানা প্রলোভন দেখিয়ে শিবিরের প্রতি আকৃষ্ট করে। এরপর শুরু হয় ইসলাম ধর্মকে সামনে রেখে কোরআন-হাদীসে শপথ করে জিহাদের প্রতি তাদের উদ্বুদ্ধ করা। ইসলামের অপব্যাখা করে এবং তাদের বুঝিয়ে বলে জিহাদ করে মারা গেলে সরাসরি জান্নাতে চলে যাবেন এবং শহিদী মর্যাদা পাবেন। ২০১৭ সালে ঘটে যাওয়া সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় জঙ্গি হামলার সাথে জড়িতদের মধ্যে কথিত মিছবাউল হাসানের নামও লোক মুখে শুনা যায়। কিন্তু আইনি বিচার ব্যবস্থা এড়িয়ে সে এখন আন্ডার গ্রাউন্ডের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অন্যতম মাষ্টার মাইন্ড। তার ইশারাই এ জেলায় অপকর্ম, চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড হয়ে তাকে। সে একটি শক্তিশালী চক্র গড়ে তুলেছে। সমাজে ত্রাস সৃষ্টি করাই তার প্রধান কাজ। থানায় একাধিক মামলা থাকার পরেও সে ও তার সহযোগীরা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ মিছবাহ ও তার সহযোগীদের দেখেও না দেখার বান করে। তাদের গ্রেফতার না করে এড়িয়ে যায়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৯ইং সালে মৌলভীবাজারে নবম ও দশম শ্রেণীর দুই শিক্ষার্থী হত্যাকান্ডের মামলার আসামীদের মধ্যে একজন ছিল ছাত্রশিবির নেতা মিছবাউল। কিন্তু মামলার বাকী আসামীরা এখনো জেলে শাস্তি ভোগ করলেও অজানা কারণে মিছবাউলকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সুশীল সমাজের বিশ্বাস বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার এমপি এবং বড় নেতাদের সাথে তার সুসম্পর্কের কারণে মিছবাউল সর্বদা পুলিশের ধরা ছোয়ার বাহিরে থাকে। শিবিরের এই নেতা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে। শিবিরের এই নেতার এবং তার পরিবারের নির্দিষ্ট কোনো আয়ের উৎস না থাকার পরেও সে বিলাস বহুল জীবন যাপন করছে। তার বিলাসী চলাফেরা দেখে অনেকেই বুঝে উঠতে পারছেন না সে এতো টাকা কোথায় পায়। সে শিবিরের এমন মেধাবী শিক্ষার্থী ও যুবকদের অন্তর্ভুক্ত করে অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে জিহাদ করে মরার জন্য।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, নিজামের চাচা স্থানীয় ক্ষমতাসীন সরকারী দলের একজন সক্রিয় কর্মী। নিজাম স্থানীয় যুবকদেরকে তাদের দলে যোগদানে আগ্রহী করে তোলে। যারা তাদের দলে যোগদানে অনিহা প্রকাশ করে তাদেরকে শিবিরের নেতাকর্মীরা টার্গেট করে এবং জোর করে দলে যোগদানে ব্যর্থ হলে শেষ পর্যন্ত গুম করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেই সব যুবকদের আর খুঁজে পাওয়া যায় না। এমন অনেক নিখোঁজ কিডনাপের অভিযোগও আছে শিবিরের বিরুদ্ধে। সারা দেশে শিবিরের এই গুন্ডা বাহিনীর তৎপরতা সমানভাবে বিদ্যমান। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা নিতে অনিচ্ছুক থাকে এই চক্র গুলো এতো বড় শক্তির উৎস কোথায় পেলো সেটা এখনও প্রশ্নবিদ্য। এই রকম চলতে থাকলে দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ এই জঙ্গি দলের নেতাদের সক্রিয়তা এই রকম চলতে থাকলে বাংলাদেশও কি আফগানিস্তানের মতো তালেবানের দখলে চলে যাবে এমন প্রশ্ন দেশের সাধারণ মানুষ ও যুব সমাজের। এদের ধমন করা না হলে খুব শীঘ্রই মৌলভীবাজার তথা পুরো জেলায় অরাজকতা সৃষ্টি হবে। যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে চলে যাবে বলে জেলার সচেতন মহল মনে করছেন।