স্টাফ রিপোর্টারঃ
করোনার দোহাই দিয়ে শিক্ষার্থী ও সাধারণ যাত্রীদেরকে জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে সিলেট নগরীর গাড়ি চালকদের বিরোদ্ধে। এ নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থী ও সাধারণ যাত্রীদের সাথে চালকদের বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে শহরে গাড়ি চালক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিষয়টি জানতে এ প্রতিবেদক শতাধিক যাত্রীর সাথে কথা বলেন। যাত্রীদের অভিযোগ,করোনা মহামারীর শুরু থেকে যাত্রীদেরকে জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রতিযেগিতা শুরু করেছেন নগরীর গাড়ি চালকরা। শিক্ষার্থীদেরকেও তারা রেহাই দিচ্ছে না। কোনো যাত্রী নায্যভাড়ার চেয়ে বেশি দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে গাড়ি চালক-শ্রমিকরা যাত্রীদের সাথে দূর্বব্যবহার করছেন। চালকদের এই অন্যায়ের বিরোদ্ধে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করতে শুরু করেছেন। বিভিন্ন স্থানে গাড়ি চালকদের দ্বারা শিক্ষার্থীরা হামলারও শিকার হচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র বলছে,নগরীর অটো-রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সব কমিটিকে নিয়ন্ত্রণ এবং তাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেন ‘জাতীয় শ্রমিক লীগে’র সিলেট মহানগর সভাপতি শাহরিয়ার কবির সেলিম। মূলত তার ইন্ধনেই চালকরা করোনার অজুহাতে গলাকাটা ভাড়া আদায় করছেন। প্রশাসন এগুলো দেখেও না দেখার ভান করছে।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়,কিছু কিছু সামাজিক সংগঠন ও শিক্ষার্থী ‘শ্রমিক লীগ’ নিয়ন্ত্রীত গাড়ি চালকদের অন্যায়ের জোড়ালো প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এর মধ্যে একটি প্রতিবাদী সংগঠন হচ্ছে ‘শতাব্দির স্বপ্ন’। শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত বহুমুখী এ সামাজিক সংগঠন শিক্ষা,শিক্ষার্থীদের চলাফেরা ও বাঁচার অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে। এ সংগঠনের সদস্যরা গাড়ি চালকদের অন্যায়ের প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করছে। এ নিয়ে একাধিক স্থানে গাড়ি চালকদের সাথে প্রতিবাদকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে।
‘শতাব্দির স্বপ্ন’ সংগঠনের নেতৃত্বে থাকা শিক্ষার্থী সাদিকুর রহমানের সাথে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। সে জানায়,গাড়ি চালকদের হয়রানী ও চাঁদাবাজিতে শিক্ষার্থীরা অতিষ্ট। করোনা মহামারির এ কঠিন সময়ে তারা জিম্মী করে ভাড়া আদায় করছে। শিক্ষার্থীরা তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করছে। এর জন্য শিক্ষার্থীদেরকে হামলা-মামলার হুমকি,গুম-খুনের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।