ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজারে কর্মরত তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের পদবী পরিবর্তনের দাবিতে ১৫ নভেম্বর থেকে আন্দোলন করছেন পদোন্নতি বঞ্চিত ১৭৫ কর্মচারী। ফলে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কার্যক্রমে চরম স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। দাবি মানা না হলে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে এবং পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দিচ্ছেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো: মখলিছুর রহমান। সরকারি চাকরিতে ঢুকেছেন ১৯৮৮ সালের ৬ নভেম্বর। দীর্ঘ ৩২ বছর চাকরি করলেও একই পদ থেকে তিনি অবসরে যাচ্ছেন। শুধু তিনি নন, তার মতো সৈদয় আজমল হোসেন এবং রেনু কুমার সিংহ একই সময় সমপদের চাকুরিতে যোগ দিয়ে অবসরে যাচ্ছেন পদোন্নতি ছাড়াই। আবার কেউ কেউ চাকুরির শেষ সময়ে এসে বয়স্ক জনিত নানা রোগে আক্রান্ত মারা গেছেন। কিন্তু পুরো চাকুরি জীবনে তাদের একটিও পদোন্নতি হয়নি।
জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে এবং উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পদে (১১-১৬ গ্রেডের) তৃতীয় শ্রেণীর ১৭৫ জন কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। চলতি বছরের ০১ জানুয়ারী থেকে কর্মচারীরা পদন্নোতির দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৫ নভেম্বর থেকে ফের তাদের পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি শুরু হয়ে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কর্মচারীদের আন্দোলনে পুরো জেলার প্রশাসনিক কর্মকান্ডে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। কর্মচারী ছাড়া অনেকটা বেকায়দায় পড়েছেন প্রশাসনের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তারা। করোনার সংকটকালীন সময়ে তারা তেমন কাজ করতে পারছেন না। কর্মচারী ছাড়া অনেকটা অচল সময় পার করতে হচ্ছে তাদের।
মৌলভীবাজারে আন্দোলনকারীরা বলছেন, এবার দাবি আদায় না হলে ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবে মহা সমাবেশের ডাক দেবে তারা। দাবি মানার পূর্ব পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।
জেলার বড়লেখা উপজেলা থেকে আশা রহিম মিয়া বলেন, জরুরি একটি কাজে সকালে এসেও কর্মচারীরা অফিসে না থাকায় কাজ হয়নি। এভাবে দেখা যায় অনেকেই বিভিন্ন উপজেলা থেকে এসে কাজ না করে ফেরত যাচ্ছেন।
জেলা নাজির তপন কান্তি ধর বলেন, পদন্নোতি হলে আমরা আনন্দ নিয়ে কাজ করতাম। কাজের গতি আরও বেড়ে যেত।