সরওয়ার আহমদঃ মনু নদী প্রকল্পের মূল উদ্দশ্যে ছিল হাওর কাউয়াদিঘি এলাকাকে অকাল বন্যার হাত থেেক রক্ষা করা, ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি এবং হাওরের পানি নিষ্কাশনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রেখে কৃষকদরে ফসল চাষে উৎসাহতি করা। র্দীঘদিন পর এবছর প্রকল্পটিতে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত এবং অব্যাহত থাকায় মনু প্রকল্প এলাকায় ৩৫ বছররে রের্কড ভঙ্গকরে প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে বাড়তি চাষাবাদ ও ৩০ হাজার টন ধান উৎপাদনের সম্ভাবনাকে তলিয়ে দেওয়ার জন্য একটি মহলের অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইটা ইসলামী সমাজ কল্যাণ সংস্থা। বিবৃতিতে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন- কাশিমপুর পাম্প হাউজের অচলাবস্থা দূরীকরণসহ নতুন পাম্প স্থাপন আমাদের দীর্ঘদিনের ধারাবাহিক আন্দোলনের ফসল। নতুন পাম্প মেশিনের পানি নিষ্কাশন গতিশীল থাকায় এবার প্রকল্প এলাকায় কৃষক মহলে রোপা আমন চাষাবাদের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। যার ফলে এবছর প্রকল্পভুক্ত এলাকায় ধান উৎপাদনে বিপ্লব হবার সম্ভাবনা হাতছানি দিচ্ছে। করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষের পিঠ যখন দেয়ালে ঠেকেছে, তখন কৃষিকে অবলম্বন করেই হাজার হাজার মানুষ জীবন যুদ্ধে নেমেছে। বৃষ্টিতে ভিজে এবং রোদে পুড়া কৃষকদের কষ্টের ফসল তাঁদেরকে আবার ঘুরে দাড়ানোর স্বপ্ন দেখাচ্ছে। এমতাবস্থায় কয়েকটি গ্রামের পতিত ভূমির কচুরীপানা অপসারণের জন্য সেচ ব্যবস্থা বন্ধ রেখে হাওরে পানি বৃদ্ধি রাখার দাবী- প্রকল্প এলাকার ৬৮টি গ্রামের চাষীদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলার নামান্তর। বিবৃতিদাতারা এটিকে ষড়যন্ত্রের সাথে তুলনা করে বলেন- আন্দোলনের মাধ্যমে কাশেমপুর পাম্প হাউজকে সচল করা হয়েছে। এটিকে অচল করা হলে প্রকল্প এলাকায় বৃহত্তর উদ্যমে দ্বিগুণ মাত্রায় আন্দোলন করা হবে। ষড়যন্ত্রকারীদের এই অপপ্রচারে কর্ণপাত না করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন- ইটা ইসলামী সমাজ কল্যাণ সংস্থার পক্ষে সভাপতি এম ফয়জুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রাজন আহমদ