ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
পানি নিষ্কাশন নিয়ে দুটানায় পড়েছে আসন্ন রোপা আমন মৌসুমের বর্ধিত চাষাবাদ। প্রকল্পের পানি নিষ্কাশনের ব্যাপারে প্রকল্প এলাকার তিনজন ইউ.পি চেয়ারম্যান মৃদু আপত্তি জানিয়েছেন। অন্যদিকে কৃষকমহল চাচ্ছেন পানি নিষ্কাশনের প্রতিক্রিয়ায় যতটুকু বর্ধিত চাষাবাদ সম্ভব ততটুকুই লাভ। এ নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্বে পড়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
প্রকল্পের কাশিমপুর পাম্প হাউজের পাম্পগুলো দুর্বল হয়ে পড়ায় বিগত একদশক পর্যন্ত প্রকল্প এলাকার রোপা আমন চাষাবাদ বিঘিœত ছিল জলাবদ্ধতার কারণে। ফলে শুষ্ক মৌসুমে হীরা বোর চাষাবাদই ছিলো প্রকল্প এলাকার কৃষককূলের একমাত্র ভরসা। তবে এই সিষ্টেমের পরিবর্তন হয়েছে গত বছর থেকে।
জানাগেছে কাশিমপুর পাম্প হাউজের পুরাতন পাম্প মেশিন অপসারণ করে নতুন পাম্প মেশিন স্থাপনের পর গত ২০১৯ সন থেকে প্রকল্প এলাকায় জলাবদ্ধতা দূর হতে থাকে। ফলে গত রোপা আমন মৌসুমে তিন হাজার হেক্টর জমিতে নির্বিঘেœ চাষাবাদ সম্পন্ন হয়েছিল। চলামান মৌসুমে অবস্থার আরও ব্যতিক্রম ধরেছে। পূর্বতন জলাবদ্ধতার কারণে যে সমস্থ জমিতে রোপা আমন চাষাবাদ সম্ভব হতো না, সেই জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যে প্রকল্প এলাকার কৃষক মহল বীজ তলা তৈরী করেছেন। নতুন উদ্যম জমি উপযোগী করে তুলছেন। কিন্তু গত সপ্তাহের ধারাবাহিক বৃষ্টির ফলে যে কৃত্রিম জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে তাতে কর্ষিত জমিগুলো জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। অথচ আগামী দুঃসপ্তাহের মাথায় জমিতে ধান চারা রোপনের পরিকল্পনা ছিলো।
কৃষক মহল জানিয়েছেন- পানি যে হারে কমার কথাছিল, সেই হারে নামছে না। খবর নিয়ে জানাগেছে- প্রকল্পের ভাটি এলাকার তিনজন ইউ.পি চেয়ারম্যান পানি নিষ্কাশনের গতি শ্লথ করার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট মৌখিক অনুরোধ জানানোর ফলে ধারাবাহিক নিষ্কাশনে নিয়োজিত চারটি মেশিনের মধ্যে একটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে পানি নিষ্কাশনের গতি কমায় জলাবদ্ধতা বাড়ছে। গুঞ্জন উঠেছে- মাছ চাষাবাদ ও ফিশারীগুলোর স্বার্থরক্ষার জন্য এই তিন চেয়ারম্যান, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে চাপে রেখেছেন। অন্যদিকে কৃষক মহলের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে- মুষ্টিমেয়ের স্বার্থ সংরক্ষনের জন্য সমষ্টির ক্ষতি সাধন কোন অবস্থায় মেনে নেয়া যাবে না।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র শংকর চক্রবর্ত্তীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান- নানা কারণে তিনটি মেশিন চালু রাখা হলেও এখন থেকে চারটি মেশিন অবিরত চালু থাকবে। প্রকল্প এলাকায় গত বছরের চাইতে দ্বিগুণ বেশী চাষাবাদ সম্পন্ন করার নির্দেশ রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
Post Views:
0