বিশেষ প্রতিনিধিঃ
মা-বাবা, দেশের মাটি ও স্বজন ছেড়ে মৌলভীবাজারের অনেকেই বসবাস করছেন বিশ্বের উন্নত দেশ আমেরিকায়। বিশ্বের উন্নত দেশে নানা সুবিধা পেয়ে বসবাস করলেও দেশের জন্য তাদের টান থাকে সর্বদা। দেশের উন্নয়ন ও ভালো কাজ গুলো দেখে তারা আনন্দিত হন। ঘুম থেকে উঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, সংবাদ মাধ্যম কিংবা টিভি চ্যানেলে দেশের খবর দেখেন। অনেকেই আবার প্রতিদিন বাড়িতে স্বজনদের কাছে ফোন দিয়ে খোঁজ খবর নেন।
দেশকে এগিয়ে নিয়ে বিশ্ব ধরবারে সম্মানের আসনে তোলে ধরাই তাদের স্বপ্ন। নিজের ঘাম ঝরানো হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রমের টাকা থেকেও কিছু টাকা দেশের এবং নিজ এলাকার অবহেলিত মানুষের উন্নয়নে সর্বদা ব্যয় করেন। শিক্ষা, চিকিৎসা, ঘর তৈরি করে দেয়া, কন্যা দায়গ্রস্থ পরিবারকে সহযোগীতা সহ নানা কাজে আর্থিক সহযোগীতা দিয়ে যাচ্ছেন এ সকল প্রবাসীরা।
এরই ধারাবাহিকতায় চলমান করোনা মহামারিতে বাংলাদেশেও হানা দেয় এই মহামারি। ইতিমধ্যে কেড়ে নিয়েছে অনেক প্রাণ। ছিন্নভিন্ন করছে অর্থনীতির চাকা। বন্ধ কলকারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ অনেক কিছুই। চলছে কর্মী ছাটাই। বাড়ছে বেকারত্বের হার। অনেক পরিবারের আয় বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন অনেকেই। বিশেষ করে কষ্টের মধ্যে দিন পার করছেন নি¤œ মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা।
এমন পরিস্থিতিতে আমেরিকা ভিত্তিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন অব মৌলভীবাজারের উদ্যোগে একাধিক ধাপে ৬’শ ১৮টি পরিবারের মধ্যে ১০ দিনের খাবারের পরিমানে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন অব মৌলভীবাজার (আইএফএম) এর প্রতিষ্ঠাতা ও এডমিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নজরুল হক, মঞ্জুর চৌধুরী জগলুল, সৈয়দ গৌছুল হোসেন, হারুন আলী ও শাখাওয়াত আলী সহ অন্যান্য এডমিনদের মানবিক আহবানে প্রবাসীরা সাড়া দিয়ে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণে সহযোগিতা করায় তারা সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রতিবেদককে বলেন, দেশের যেকোনো সংকটপূর্ণ সময়ে তাদের সহযোগীতার হাত অব্যাহত থাকবে। দেশের কল্যাণে তারা সর্বদা কাজ করতে চান। দেশকে এগিয়ে নেয়াই তাদের মূল লক্ষ্য।
সংগঠনের দেশে দায়িত্বরত প্রতিনিধিরা প্রতিবেদককে বলেন, মানুষের কল্যাণে তারাও সর্বদা সময় দিয়ে কাজ করতে চান। দেশ, সমাজ ও দেশের দরিদ্র মানুষকে এগিয়ে নেয়াই তাদের মূল উদ্দেশ্য।