ষ্টাফ রিপোটারঃ
করোনায় ৬৫০ এর অধিক পরিবারকে সহায়তা করেছে ইচ্ছেঘুরি ফাউন্ডেশন (নিবন্ধিত এনজিও)
দুর্যোগ মোকাবেলায় এক অতন্ত্র প্রহরী এবং অর্থনীতি, শিক্ষা, কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্য সহ সকল প্রকার উন্নয়ন কার্যক্রমকে গতিশীল করার চিন্তাভাবনা থেকেই জন্ম ইচ্ছেঘুড়ি ফাউন্ডেশনের। এরই ধারাবাহিকতায় করোনার দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রথম থেকেই ‘করোনা ক্রাইসিস কেয়ার’ নামে প্রকল্প হাতে নিয়েছে ইচ্ছেঘুরি ফাউন্ডেশন।
করোনার করুন ছোবলে দীর্ঘদিন লকডাউনের ফলে অনেকেই হারিয়েছেন তাদের রুটি-রুজির পন্থা এবং হয়ে পড়েছেন দিশেহারা। এর মধ্যে ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আছে স্বল্প আয়ের লোকগুলো। তারা না পারে লাইনে দাঁড়িয়ে সাহায্য নিতে, না পারে মুখফুটে তাদের দুরবস্থার কথা বলতে। স্বেচ্ছাসেবকদের তথ্যের ভিত্তিতে রাতের আঁধারে নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং অসহায় মানুষদের খাদ্যদ্রব্য ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে আসছে ইচ্ছেঘুড়ি ফাউন্ডেশন।
এই প্রকল্পের আহ্বায়ক, প্রধান সমন্বয়ক এবং ইচ্ছেঘুড়ি ফাউন্ডেশনের গবেষক জহির উদ্দিন বলেন, শুরুতেই আমরা বুঝতে পেরেছি যে, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো বিভিন্ন কারণে আর্থিক এবং খাবারের সঙ্কটে পরতে যাচ্ছে। এ জন্য শুরু থেকেই আমরা তাদেরকে উদ্দেশ্য করেই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ আমরা তাদেরকে ইদ উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, তাদের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।
এই ব্যাপারে ইচ্ছেঘুড়ি ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, সামাজিক সংগঠক এম এ হাসান বলেন, চার ধাপে সিলেট, মৌলবীবাজার, সুনামগঞ্জ, কুমিল্লা সহ অন্যান্য জেলায় আমরা প্রায় ৬৫০ এর অধিক পরিবারকে সহায়তা প্রদান করতে সক্ষম হয়েছি। সর্বশেষ সিলেট, মৌলবীবাজারে আমরা ১৪০ টি পরিবারের মাঝে ইদ উপহার হিসেবে খাদ্য দ্রব্য প্রধান করতে সক্ষম হয়েছি। এর পাশাপাশি আমরা তথ্যের ভিত্তিতে সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ১০০ এর অধিক পরিবারকে ইদ সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করতে সক্ষম হয়েছি।