স্টাফ রিপোর্টারঃ মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান বলেছেন, অস্বাভাবিক ভুয়া নির্বাচন দিয়ে কেউই দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকতে পারে নি। প্রত্যেকটা নির্বাচনই বিভিন্ন ধরণের কারচুপির মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় এসেছে। ২০০৮ সালে তৎকালীন তত্বাবধায়ক সরকারের সাজানো নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে তারা ক্ষমতা বজায় রাখে। প্রহসনের এই নির্বাচনের মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে। আর ২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বরে নির্বাচনে এসে পুলিশের সাহায্য নিয়ে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখে। এই ধরণের অস্বাভাবিক নির্বাচনের মাধ্যমে কেউ ক্ষমতায় দীর্ঘকাল টিকে থাকতে পারে না। দেশে গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই।
তিনি বলেন, আজ দেশে পিয়াজের অস্বাভাবিত মূল্য বৃদ্ধির কারণে মানুষ অতিষ্ঠ। একমাত্র ৯১ সাল ও ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছিল। এটা অত্যন্ত দুখের বিষয় জনগণ বিএনপির সাথে থাকার পরও আওয়ামীলীগ ভোট লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। যে দল পুলিশকে দিয়ে ভোট কারচুপি করে, সেই দল কতটুকু দেউলিয়া দেশের জনগণ তা সহজেই অনুমান করতে পারছে। সে জন্য দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় একটা আমুল পরিবর্তন আনতে হবে। দেশের জনগণ বিএনপির সাথে এবং ধানের শীষের সাথে আছে।
তিনি নিজের আসনের কথা উল্লেখ করে বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর আসনে বিএনপি ২লাখেরও অধিক ভোট পেয়ে বিজয়ী হত। আওয়ামীলীগের প্রার্থী ৬০ হাজারের বেশী ভোট পেত না। যদি দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, আওয়ামীলীগ কখনই ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
সোমবার দুপুরে একটি কমিউনিটি সেন্টারে রাজনগর উপজেলা বিএনপির বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. জিতু মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এমএ হাকিম বকস সুন্দরের পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ফয়জুল করিম মযুন, সহ-সভাপতি এমএ মুকিত, আশিক মোশাররফ, ১ম যুগ্ম সম্পাদক মো. হেলু মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক ফয়সল আহমদ, সাংগঠনিক বকসি মিসবা উর রহমান, রাজনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোনায়েম খান গেদন, সৈয়দ ইকরাম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের আহমদ চৌধুরী, উত্তরভাগ ইউনিয়ন বিএনপির সম্পাদক শাহ মো আরব আলী, ফতেহপুর ইউনিয়ন বিএনপির সম্পাদক সামছুদ্দিন মাস্টার, মুন্সিবাজার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আশিক মিয়া, পাচগাও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল মুকিত, রাজনগর ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, টেংরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোত্তাকিন মুক্তা, কামারচাক ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলতাফুর রহমান, মনসুরনগর ইউনিয়ন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রুহুল আমিন।
উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বদরুল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক শামীম আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক মো. ফখরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মো. ইদ্রিছ আলী, মৌলভীবাজার পৌর বিএনপির সম্পাদক মনোয়ার আহমেদ রহমান, জেলা ওলামাদলের আহ্বায়ক মাওলানা এমএ হেকিম, যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আব্দুল হাকিম, রাজনগর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি নুরুল ইসলাম সেলুন, উপদেষ্ঠা আব্দুল কাদির, মানিক মিয়া, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড আব্দুল মন্নান।
সভায় তৃণমূলে নেতাকর্মীরা তাদের বক্তব্যে বলেন- বিগত সংসদ নির্বাচনে একদিকে পুলিশের নির্যাতন অন্যদিকে আওয়ামীলীগের হামলা-মামলায় জর্জরিত নেতাকর্মীরা। ভোটের আগের দিন রাতে ও ভোটের দিন রাজনগরের ভোট সেন্টারগুলো পুলিশের সাহায্যে দখল করে ব্যালট বাক্স ভরেছে। জনগণের মতামতের প্রতিফলন না ঘটিয়ে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করেছে। নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। এবং বলেন রাজনগর উপজেলায় বিভিন্ন হয়রানিমূলক মামলায় এখনও ঘরবাড়ি ছাড়া, এমনকি অনেক নেতাকর্মী দেশ ছেড়ে পালিয়ে আছেন। বর্ধিতসভায় রাজনগর উপজেলা বিএনপির কার্যকরি কমিটির সদস্য ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দরা অংশ নেন।
রাজনগরে উপজেলা বিএনপির বর্ধিত সভা
